বড়লেখা প্রতিনিধি :
বড়লেখা উপজেলার পশ্চিম শংকরপুর গ্রামে ফুটবল খেলায় মারপিটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ নারীসহ ৪ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। এরা হলেন- সামছুল আলম, তার স্ত্রী সোনারা বেগম, মেয়ে আয়শা আক্তার জনি ও ছেলে রাব্বি আহমদ। এই ঘটনায় আহত সোনারা বেগম প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করলে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে হামলাকারি পক্ষ জখমিদের বিরুদ্ধে আদালতে কাউন্টার মামলা দায়ের করেছে। এতে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনায় পশ্চিম শংকরপুর গ্রামের সাব উদ্দিন সাবু, ইজ্জাদ আলী, সাদিক আহমদ, জেবিন বেগম, মারজানা বেগম গত ১৯ মার্চ সকালে সামছুল আলমকে রাস্তায় একা পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের কুপে তার হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সামছুল আলমের মারাত্মক রক্তাক্ত জখম দেখে তাকে বাচাতে স্ত্রী সোনারা বেগম, পুত্র রাব্বি আহমদ ও কন্যা আয়শা আক্তার জনি এগিয়ে আসলে সাব উদ্দিন, ইজ্জাদ আলী গংদের আঘাতে তারাও মারাত্মক আহত হন। এসময় তারা সোনারা বেগম ও আয়শা আক্তারের শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং গায়ের স্বর্ণালংকার টেনে হেছড়ে ছিনিয়ে নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
সামছুল আলম ও তার স্ত্রী সোনারা বেগমের জখম গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনায় আহত সোনারা বেগম গত ২০ মার্চ বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিপক্ষের সাব উদ্দিন, ইজ্জাদ আলী, সাদিক আহমদ, জেবিন বেগম, মারজানা বেগমকে আসামি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। আদালত মামলাটির এফআইআর করার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
এদিকে হামলাকারিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের খবরে সোনারা বেগমের মামলার দুই নম্বর আসামী ইজ্জাদ আলীর স্ত্রী জেবিন বেগম জখমি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানোর অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন। এই কাউন্টার মামলা দায়েরের কারণে এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সোনারা বেগম অভিযোগ করেন ‘আমি মামলা করায় আমার স্বাক্ষীদের (জখমি) বিরুদ্ধে আমার মামলার চার নম্বর আসামি জেবিন বেগম (দুই নং আসামির স্ত্রী) আদালতে কাউন্টার মামলা করেছে। আমাদের উপর হামলা, শ্লীলতাহানী, স্বর্ণালংকার ও টাকা লুটের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই তারা এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছে। মামলা তোলে নিতে তারা নানাভাবে হুমকি-ধমকিও দিচ্ছে।’
বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, সোনারা বেগম ও জেবিন বেগমের পৃথক মামলা দু’টির এফআইআর’র নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply