বড়লেখায় ঝড়ে উড়ে গেছে পৌরভবনের চাল-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুতহীন বড়লেখায় ঝড়ে উড়ে গেছে পৌরভবনের চাল-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুতহীন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ ম্যাচমেকিং কর্মসূচি ও ব্যাংকার-উদ্যোক্তা মত বিনিময় সভা ৪শ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক নিদর্শণ আত্রাইয়ের তিন গুম্বুজ মসজিদ-মঠ সিলেট তালতলা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন জেলা প্রশাসকের সাথে কুলাউড়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মতবিনিময় কুলাউড়ার সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ বড়লেখায় বিজিবির হাতে রুপিসহ ভারতীয় নাগরিক আটক কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি ফসলি জমি রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীর    সিলেটে বিএনপির বিশাল শোডাউন সিলেট নগরীতে ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত রিকশা চলাচলে নতুন নির্দেশনা ঘরহারা বন্যার্তদের পাশে কুলাউড়া এসোসিয়েশন অব নিউজার্সি ইউএসএ

বড়লেখায় ঝড়ে উড়ে গেছে পৌরভবনের চাল-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুতহীন

  • বুধবার, ১ মে, ২০২৪

বড়লেখা প্রতিনিধি :

বড়লেখায় মঙ্গলবার রাতের কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে উপজেলার বিভিন্নস্থানে উড়ে গেছে অসংখ্য কাঁচা ও আধাপাকা ঘরের টিনের চালা। ঝড়ে শতাধিক স্থানে বিদ্যুৎ লাইনের উপর গাছ উপড়ে পড়ে ছিড়ে গেছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন তার। কোথাও কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। উপড়ে পড়েছে বিভিন্ন রাস্তার পাশের ষ্ট্রীট লাইট। ফলে রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বুধবার দুপুরের দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হলেও অধিকাংশ এলাকায় এখনও রয়েছে বিদ্যুতহীন। এদিকে প্রচন্ড ঝড়ে বড়লেখা পৌরসভা কার্যালয় ভবনের টিনের চাল উড়ে গেছে। এতে কম্পিউটার, আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।

এর আগে শনিবার বড়লেখার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৫ শতাধিক কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেক এলাকায় গাছ পড়ে, খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শিলাবৃষ্টিতে ঝাজরা হওয়া টিনের চালা এখনও অনেকে মেরামত কিংবা পরিবর্তন করতে পারেননি। এরই আবারও ভারি বর্ষণ, ঝড় আর শিলাবৃষ্টি হচ্ছে। এতে হাজার হাজার মানুষ মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বড়লেখা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় আধাঘন্টাব্যাপী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বড়লেখা পৌরসভা, উত্তর শাহবাজপুর, দক্ষিণ শাহবাজপুর, তালিমপুর, দাসেরবাজার, বর্ণি, দক্ষিণভাগ উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য কাঁচা ও আধাপাকা ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। ঝড়ে এসব এলাকার প্রায় শতাধিক স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। বড়লেখা-শাহবাজপুর সড়কের পাশের বড়বড় গাছ বিদ্যুৎ লাইন ও সড়কের উপর উপড়ে পড়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। ফলে রাত থেকে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে বুধবার দুপুরের দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও অধিকাংশ এলাকা এখনও রয়েছে বিদ্যুত বিহীন।

বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বুধবার বিকেলে বলেন, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার প্রত্যেকটি এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পৌর ভবনের টিনের চাল উড়ে গেছে। এতে কম্পিউটার ও মূল্যবান কাজগপত্র ভিজে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কয়েকটি জায়গায় খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এখনও অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুতবিহীন রয়েছে।

উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতের ঝড়ে তার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। এর আগে আরো দুই দফা কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে তার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৫ শতাধিক বমতঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হলেও এখনও মিলেনি কোনো সরকারি সহায়তা।

দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন বলেন, গতরাতে বয়ে যাওয়া ঝড়ে তার এলাকার শ’খানেক ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর আগে ঝড় ও শিলায় তার ইউনিয়নের অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রেরণ করলেও এখনও ক্ষতিগ্রস্থরা পায়নি কোনো সরকারি ত্রাণ সহায়তা।

তালিমপুর ইউপির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান বলেন, ঝড়ে তার এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। হতদরিদ্র অনেকের কাচা ঘরের উপর গাছ পড়ে টিন ঝাজরা হয়ে গেছে, খুটি ভেঙ্গে পড়ায় মারাত্মক ঝুকি নিয়ে বসবাস করছেন। শিলাবৃষ্টিতে অনেকের টিনের চাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ নেই।

বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, ঝড়ে পৌরশহর, উত্তর শাহবাজপুর, দক্ষিণ শাহবাজপুর, তালিমপুর ও নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের অন্তত ১৫ স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। শতাধিকস্থানে বিদ্যুৎ লাইনের উপর গাছ পড়ে তার ছিড়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে ঝড় থামার পর থেকেই লোকজন নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ লাইন মেরামতের কাজ শুরু করেন। বুধবার দুপুর থেকে বিভিন্ন এলাকায় লাইন চালু শুরু করেছেন। অন্যান্য এলাকায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার লক্ষে কাজ চলছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান বুধবার সন্ধায় জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা সংগ্রহ করেছেন। এর আগেও আরো দুই দফা কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অন্তত তিন হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের তালিকা সংগ্রহ করে উর্ধতন দপ্তরে পাঠিয়েছেন। এখনও সরকারি কোনো ত্রাণ সহায়তা পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews