বড়লেখায় বিদ্যুতের মেইন লাইন ঘেষে বিল্ডিং নির্মাণ, প্রাণ গেল নির্মাণ শ্রমিকের বড়লেখায় বিদ্যুতের মেইন লাইন ঘেষে বিল্ডিং নির্মাণ, প্রাণ গেল নির্মাণ শ্রমিকের – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কমিউনিটি সেন্টারে বৌভাতে সবাই ব্যস্ত : বাড়ি থেকে ডাকাতরা লুটে নিল টাকা, ডলার, স্বর্ণালংকার শাহবাজপুর হাইস্কুলের প্রতিষ্টাতা প্রধান শিক্ষক আছদ্দর আলীর ইন্তেকাল মাধবপুর যমুনা ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পার্কে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি পালিত কুলাউড়ার তৌসিফের সাফল্য! ছাতকে সোনাই নদীর বালু লুটপাটে সক্রিয় সিন্ডিকেট : যৌথ বা‌হিনীর অ‌ভিযান গ্রেপ্তার ২ কমলগঞ্জে গ্রাউকের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষুশিবির ও গাছের চারা বিতরণ কমলগঞ্জে প্রখ্যাত সুফী সাধক আজমত শাহ প্রতিষ্ঠিত মসজিদ পুণ: নির্মান এবং আজমত শাহ সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কুলাউড়ার জয়চন্ডীতে রাস্তা রক্ষার্থে মানুষের বিলাপ! নাগেশ্বরীতে ওয়ার্ল্ডভিশনের আয়োজনে স্থানীয় ব্যবসায়িদের সাথে সংবেদনশীলতা সভা কুলাউড়ার এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপে হাসিমপুরের মসজিদের বিরোধের নিষ্পত্তি

বড়লেখায় বিদ্যুতের মেইন লাইন ঘেষে বিল্ডিং নির্মাণ, প্রাণ গেল নির্মাণ শ্রমিকের

  • বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪

বড়লেখা প্রতিনিধি:

বড়লেখায় হাইভোল্ট বিদ্যুতের মেইন লাইন ঘেষে প্রবাসীর ভবন নির্মাণের খেসারত দিতে হলো নিরীহ নির্মাণ শ্রমিক লিলন মিয়ার (২৩)। মেইন লাইনের পাশে ভবনের সংস্কার কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হয়ে ভবনের নিচে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পর্যটন কেন্দ্র মাধবকুণ্ড সংলগ্ন খলাগাও গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রবাসী রাসেদ মিয়ার বাড়িতে। নিহত লিলন মিয়া দোহালিয়া গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে আটটায় লিলন মিয়ার লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, প্রবাসী রাসেদ মিয়া পল্লীবিদ্যুতের মেইন লাইন ঘেষে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। প্রবাসীর স্ত্রী বসত বাড়ির দোতলায় রাজমিস্ত্রী নিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন। নির্মাণ শ্রমিক লিলন মিয়া ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের পাশে কাজ করতে অপারগতা জানালেও অনেকটা চাপ প্রয়োগ করে প্রবাসীর স্ত্রী তাকে সেখানে কাজে লাগান। বিকেলের দিকে অসাবধানতাবশত নির্মাণ শ্রমিক লিলন মিয়া খোলা বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে দোতলার উপর থেকে নিচে পড়ে যান। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, বড়লেখার বিভিন্ন এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ উচ্চ ভোল্টের লাইন রয়েছে। অনেকের বসতঘরের উপর, ঘরের দেওয়াল এমনটি হাতে ছোঁয়া দুরত্বে বিদ্যুতের লোজ তারের মেইন লাইন টানানো রয়েছে। গত ২৫ মার্চ জুড়ীতে টিনের চালে বিদ্যুৎ লাইন ছিড়ে পড়ে বিদ্যুতায়িত ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হলেও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি মরণফাঁদ এসব বিদ্যুৎ লাইন স্থানান্তরের কার্যকর কোনো উদ্যোগই নেয়নি।

বড়লেখা পল্লীবিদ্যুতের এজিএম (কম) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, ওই প্রবাসীর বাড়ি তৈরীর আগে থেকেই এইস্থান দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন টানানো ছিল। পল্লীবিদ্যুত সমিতিকে অবহিত না করেই তিনি ভবন নির্মাণ করেন। লাইন স্থানান্তরের আবেদন-নিবেদন এমনকি কোনো ধরণের ব্যবস্থা না নিয়েই তিনি লাইন ঘেষে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকেন। প্রায় ঘরের মধ্যেই বিদ্যুতের লাইন ঢুকিয়ে ফেলেন। এখানে কাজ না করতে নিষেধ দিলেও তা মানেননি। বড়লেখায় বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ লাইন সনাক্ত করে নিরাপদ করার কাজ চলমান আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews