বড়লেখায় বিদ্যুতের মেইন লাইন ঘেষে বিল্ডিং নির্মাণ, প্রাণ গেল নির্মাণ শ্রমিকের বড়লেখায় বিদ্যুতের মেইন লাইন ঘেষে বিল্ডিং নির্মাণ, প্রাণ গেল নির্মাণ শ্রমিকের – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কমলগঞ্জে মন্দির সংস্কার ও অস্বচ্ছল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ কুলাউড়ায় আ’লীগের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে বাদী : নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি মণ্ডপের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা নিয়েছে বিজিবি-সেক্টর কমান্ডার শ্রীমঙ্গল জুড়ীতে পূজামণ্ডপ কমিটির সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় কুলাউড়ায় নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের আহবান সেনাবাহিনীর মৌলভীবাজারে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কুলাউড়ার জয়চন্ডীতে সেনাবাহিনীর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ বড়লেখা শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি নিটারের নতুন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

বড়লেখায় বিদ্যুতের মেইন লাইন ঘেষে বিল্ডিং নির্মাণ, প্রাণ গেল নির্মাণ শ্রমিকের

  • বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪

বড়লেখা প্রতিনিধি:

বড়লেখায় হাইভোল্ট বিদ্যুতের মেইন লাইন ঘেষে প্রবাসীর ভবন নির্মাণের খেসারত দিতে হলো নিরীহ নির্মাণ শ্রমিক লিলন মিয়ার (২৩)। মেইন লাইনের পাশে ভবনের সংস্কার কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হয়ে ভবনের নিচে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পর্যটন কেন্দ্র মাধবকুণ্ড সংলগ্ন খলাগাও গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রবাসী রাসেদ মিয়ার বাড়িতে। নিহত লিলন মিয়া দোহালিয়া গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে আটটায় লিলন মিয়ার লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, প্রবাসী রাসেদ মিয়া পল্লীবিদ্যুতের মেইন লাইন ঘেষে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। প্রবাসীর স্ত্রী বসত বাড়ির দোতলায় রাজমিস্ত্রী নিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন। নির্মাণ শ্রমিক লিলন মিয়া ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের পাশে কাজ করতে অপারগতা জানালেও অনেকটা চাপ প্রয়োগ করে প্রবাসীর স্ত্রী তাকে সেখানে কাজে লাগান। বিকেলের দিকে অসাবধানতাবশত নির্মাণ শ্রমিক লিলন মিয়া খোলা বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে দোতলার উপর থেকে নিচে পড়ে যান। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, বড়লেখার বিভিন্ন এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ উচ্চ ভোল্টের লাইন রয়েছে। অনেকের বসতঘরের উপর, ঘরের দেওয়াল এমনটি হাতে ছোঁয়া দুরত্বে বিদ্যুতের লোজ তারের মেইন লাইন টানানো রয়েছে। গত ২৫ মার্চ জুড়ীতে টিনের চালে বিদ্যুৎ লাইন ছিড়ে পড়ে বিদ্যুতায়িত ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হলেও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি মরণফাঁদ এসব বিদ্যুৎ লাইন স্থানান্তরের কার্যকর কোনো উদ্যোগই নেয়নি।

বড়লেখা পল্লীবিদ্যুতের এজিএম (কম) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, ওই প্রবাসীর বাড়ি তৈরীর আগে থেকেই এইস্থান দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন টানানো ছিল। পল্লীবিদ্যুত সমিতিকে অবহিত না করেই তিনি ভবন নির্মাণ করেন। লাইন স্থানান্তরের আবেদন-নিবেদন এমনকি কোনো ধরণের ব্যবস্থা না নিয়েই তিনি লাইন ঘেষে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকেন। প্রায় ঘরের মধ্যেই বিদ্যুতের লাইন ঢুকিয়ে ফেলেন। এখানে কাজ না করতে নিষেধ দিলেও তা মানেননি। বড়লেখায় বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ লাইন সনাক্ত করে নিরাপদ করার কাজ চলমান আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews