বড়লেখা প্রতিনিধি::
বড়লেখায় রোববার রাতের তিন ঘন্টার ভারি বর্ষণে পৌরসভা ও উপজেলার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার রা¯তাঘাট, ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে ব্যবসায়িদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাকালুকি হাওড়র ক্রমশঃ পানি বৃদ্ধিতে ¯থায়ী বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে সোনাই নদীর চান্দগ্রাম ও হলদিরপাড় এলাকার ডাইকে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। রিমেলের প্রভাব ও পরবর্তী ভারিবর্ষণে পানিবন্দী মানুষজন চরম দুর্ভোগ পোহালেও উপজেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তাকে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন কিংবা আক্রান্ত মানুষের খোঁজখবর নিতে দেখা যায়নি। তবে পৌরমেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী ঘূর্নিঝড় রিমেলের প্রভাবকালিন ও পরবর্তী ভারিবৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
সরেজমিনে ভারিবর্ষণে বড়লেখা পৌরসভার কলেজ রোড, হাটবন্দ, আদিত্যের মহাল, আইলাপুর, পুরুষের চক এবং উপজেলার আদমপুর, বিছরাবাজার, অফিস বাজার এলাকার রা¯তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাঠ, ঘরবাড়ি ও কলোনিতে হাটু পানি ও কোমর পানিতে তলিয়ে থাকতে দেখা গেছে। ষাটমাছড়ার বাধ ভেঙ্গে ঢলের পানি শহরে প্রবেশ করে এলাকাগুলো প্লাবিত করেছে। এছাড়া বড়লেখা-শাহবাজপুর সড়কের বিভিন্ন ¯থান সোমবার বিকেলে পর্যন্ত তলিয়ে থাকতে দেখা যায়। প্লাবিত হয়েছে অফিসবাজার, সুজাউল ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, সুজাউল সরকারি প্রাইমারি ¯কুলসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভেঙ্গে গেছে বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তা।
পৌরমেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী জানান, রোববার রাতে পৌরসভা ও উপজেলার উত্তরাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তিনি আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। রিমালের প্রভাবে ভারিবর্ষণ ও ঘুর্নিঝড়ে ক্ষতিস্থদের সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ৬ টন জিআর চাল বরাদ্দ পেয়ে তা দুর্গতদের মধ্যে বন্টন করেছেন। মেয়র বলেন, ষাটমাছড়ার উজান এলাকা খনন না হওয়ায় উজানের বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে ছড়ার বাধ ভেঙ্গে শহরে পানি প্রবেশ করে এলাকা প্লাবিত করে। ষাটমাছড়ার উজান অঞ্চল খনন করা গেলে দ্রুত পানি নি®কাষিত হবে। এতে ভারিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি শহরে প্রবেশ করতে পারবে না।
Leave a Reply