জুড়ী প্রতিনিধি::
জুড়ীতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্তসামাজিক উন্নয়নে উপজেলার ২৮০ পরিবারের মাঝে গত বুধবার পরিবার প্রতি ১৫টি করে পালনের সরঞ্জামসহ হাঁস বিতরণ করা হয়েছে। এর আগে উপকারভোগিদের হাঁস পালনের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়। হাওর অঞ্চলের সমন্বিত পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এসব হাঁস বিতরণ, সরঞ্জাম প্রদান ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, হাকালুকি হাওর বেষ্টিত এ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের ২৮০ টি পরিবারের মধ্যে হাসঁ, ছাগল দিয়ে এসব পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে হাওর অঞ্চলের সমন্বিত পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু করা হয়।এসব পরিবারের সদস্যদের হাঁস পালনের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
হাসঁ নিতে আসা পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের আমতৈল চক গ্রামের অল্পনা রানী বিশ্বাস বলেন, আমার স্বামীর সামান্য কৃষিক্ষেত রয়েছে। যে ধান পাই তা দিয়ে বছরের খাবার হয়ে যায়। আমি হাঁস ছাগল পালন করে আমাদের তিন বাচ্চাকে লেখাপড়া করাচ্ছি। বড় মেয়ে ডিগ্রী ৩য় বর্ষে, ২য় মেয়ে ডিগ্রী ১ম বর্ষে, ছোট ছেলে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। সব কিছু সম্ভব হয়েছে হাসঁ, মুরগ ও ছাগল পালন করে। এসব হাসঁ, মুরগির ডিম বিক্রি করি। ছাগল ও বিক্রি করে এসব খরচ জোগাড় করি।এখন যে হাঁস পেয়েছি সেগুলোও অনেক কাজে আসবে।এই ১৫ টি হাঁস বড় হয়ে বাচ্চা দেওয়ার মাধ্যমে বড় খামার করতে পারবো।
পশ্চিম গোবিন্দ পুর গ্রামের ময়না রানী বিশ্বাস বলেন,আমাদের বাড়ি হাকালুকি হাওরের একবারে পাশে।আমার আরও হাঁস রয়েছে এগুলোর সাথে সব হাঁস হাকালুকিতে বড় হয়ে ডিম দিবে।এসব ডিম বিক্রির টাকা থেকে পরিবারের অনেক সক্ষমতা আসে।
জুড়ী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রমা পদ দে জানান, হাওর অঞ্চলের সমন্বিত পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এসব হাঁস দেওয়া হয়েছে। উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রেরিত তালিকা অনুযায়ি এসব হাঁস প্রদান করা হয়।
Leave a Reply