ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা : ইউএনও, বড়লেখা ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা : ইউএনও, বড়লেখা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ ম্যাচমেকিং কর্মসূচি ও ব্যাংকার-উদ্যোক্তা মত বিনিময় সভা ৪শ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক নিদর্শণ আত্রাইয়ের তিন গুম্বুজ মসজিদ-মঠ সিলেট তালতলা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন জেলা প্রশাসকের সাথে কুলাউড়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মতবিনিময় কুলাউড়ার সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ বড়লেখায় বিজিবির হাতে রুপিসহ ভারতীয় নাগরিক আটক কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি ফসলি জমি রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীর    সিলেটে বিএনপির বিশাল শোডাউন সিলেট নগরীতে ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত রিকশা চলাচলে নতুন নির্দেশনা ঘরহারা বন্যার্তদের পাশে কুলাউড়া এসোসিয়েশন অব নিউজার্সি ইউএসএ

ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা : ইউএনও, বড়লেখা

  • শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪

বড়লেখা প্রতিনিধি::

বড়লেখায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে কোনো ধরণের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বড়লেখা ইউএনও নাজরাতুন নাঈম। শনিবার বিকেলে তিনি বড়লেখার দশটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে এমন বার্তা দেন।

বন্যার্ত মানুষ ত্রাণের চাল নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম পাচ্ছেন-এমন অভিযোগ শুনে ইউএনও নাজরাতুন নাঈম সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে ‘ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ এমন হুশিয়ারি দিলেন।

ইউএনও নাজরাতুন নাঈম বলেছেন, প্রশাসনের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। কোনো পানিবন্দি মানুষ যেন ত্রাণ সামগ্রী থেকে বাদ না পড়ে। কেউ যেন নির্ধারিত পরিমাণ থেকে কম না পায়, সেটা সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান, ট্যাগ অফিসার, সচিব, ইউপি সদস্য নিশ্চিত করবেন। একই সাথে নির্ধারিত ছকে সকলের স্বাক্ষরিত মাস্টার রোল দাখিল করবেন। কেউ যদি ত্রাণ বিতরণে কোনো ধরনের অনিয়ম করেন তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বড়লেখা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ। এই অবস্থায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ঘরে থাকতে না পেরে অনেকে বাধ্য হয়ে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছেন। কেউ আবার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে উঠেছেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে মানুষজন সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন। অবশ্য বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন বাড়তি টাকা দিয়ে নৌকায় চলাচল করছেন।

উপজেলার ৩৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঁচ শতাধিক পরিবার উঠেছে। এসব কেন্দ্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রশাসন বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ৪৫ মে. টন চাল (ত্রাণ) বরাদ্দ পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে বিভিন্ন ইউনিয়নের সশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান, ট্যাগ অফিসার, সচিব, ইউপি সদস্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তবে অভিযোগ উঠে কোনো জনপ্রতিনিধি দুর্গতদের মাঝে ত্রাণের চাল ১০ কেজির স্থলে ৫/৬ করে দিচ্ছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews