বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির আজিমগঞ্জ অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর সিকদারের বিরুদ্ধে কর্মস্থলে না থাকা, কর্তব্যে অবহেলা, গ্রাহক হয়রানি সহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে ৩০ জন গ্রাহক সোমবার মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার এবিএম মিজানুর রহমান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তারা অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন আরইবি’র চেয়ারম্যান, বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও প্রেসক্লাব বড়লেখাকে।
পল্লীবিদ্যুতের আজিমগঞ্জ অভিযোগ কেন্দ্রের আওতাধীন বিদ্যুৎ গ্রাহক রহিম বক্ত, মো. সমছুল হক, সহিদ আহমদ, এবাদ বখত, জাহিদুল ইসলাম, লক্ষীকান্ত দাস, আয়াজ আলী, বকুল আহমদ প্রমুখের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিল মাসের শেষ দিকে জাহাঙ্গীর সিকদার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির আজিমগঞ্জ অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জের দায়িত্ব পান। এই অভিযোগ কেন্দ্রের আওতাধীন প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে গ্রাহকরা যোগাযোগ করেও ইনচার্জকে কর্মস্থলে পান না। তার স্বেচ্ছাচারী দায়িত্ব পালনে গ্রাহকরা সীমাহীন ভোগান্তি পোহান। প্রয়োজনের সময়ে তাকে খুঁজে না পাওয়ায় গ্রাহকরা বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন। ইতিপূর্বে তার অনিয়ম-দুর্নীতির ব্যাপারে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়। জাহাঙ্গীর শিকদার বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির আজিমগঞ্জ অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ হলেও তিনি স্বপরিবারে কর্মস্থল থেকে ৮/১০ কিলোমিটার দূরে বড়লেখা পৌরশহরে বসবাস করেন। সেখানে বিদ্যুৎ সমস্যা কম থাকায় গ্রাম অঞ্চলের গ্রাহকদের ভোগান্তি নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যথা নেই। আকস্মিক বিদ্যুত সমস্যা, বিদ্যুৎ লাইন ছিড়ে যাওয়া, কার্টিস ফেইল, লোডশেডিং ইত্যাদি চলমান সমস্যা দেখা দিলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনকি তিনি গ্রাহকের ফোনও রিসিভ করেন না। গত ২৫ জুলাই রাতে আজিমগঞ্জ বাজারে বিদ্যুৎ লাইনে আগুন লাগলে অনেক ব্যবসায়ি উনাকে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ভোক্তভোগি গ্রাহক ও ব্যবসায়িরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএমকে ইনচার্জ জাহাঙ্গীর সিকদারের দায়িত্বে অবহেলার ব্যাপারে বারবার অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি।
মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) এবিএম মিজানুর রহমান বুধবার বিকেলে জানান, এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগের কপি এখনও তার হাতে পৌঁছেনি। তবে ভোক্তভোগি অনেক গ্রাহক ফোন করে ইনচার্জ জাহাঙ্গীর সিকদারের নানা অনিয়মের ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। গ্রাহকের সেবা দেওয়ার জন্য তাকে রাখা হয়েছে। এত অভিযোগ থাকলে তাকে এখানে রেখে কি লাভ। তিনি তার (জাহাঙ্গীর সিকদার) বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিবেন।
Leave a Reply