বড়লেখা প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারেরবড়লেখায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদিরকে (৫৫) আটক করেছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কাদির উপজেলার তালিমপুর গ্রামের মৃত আসাব উদ্দিনের ছেলে।
বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদিরকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। তার কাছে অস্ত্র ছিল বলে তিনি যৌথবাহিনীর কাছে স্বীকার করেছেন। তবে অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদিরের ছেলে মাহি হাসান নিলয় বলেন, ‘আমার বাবার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের বাড়িতে সেনাবাহিনী এসে আমার বাবাকে ক্যাম্পে যেতে বলে। তখন আমার বাবা ঘর থেকে বের হলে তারা তাকে মারধর করেন। এসময় আমাদের ঘরে অস্ত্র আছে বলে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু অস্ত্র তারা পায়নি। পরে আমার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় আমাদের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।’
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদিরকে আটকের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। শুক্রবার সকালে তাকে উপজেলা পৌর যুবদলের এক নেতার করা মামলায় সন্ধিগ্ধ আসামি হিসাবে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৩ আগস্ট বড়লেখা পৌর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম তাফাদার বাদি হয়ে মামলাটি করেন। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি গণহত্যা দিবস ও কালো পতাকা মিছিল চলাকালে বড়লেখা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনকে প্রধান আসামি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ-যুবলীগ- স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে তিনি মামলাটি করেন।
Leave a Reply