বড়লেখা প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা বশিরউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম-দুনীতির অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে নিয়োগ ভাগিয়ে নেওয়া সেই প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমপিও ভুক্তির অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
আদালতে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো মামলা চলমান অবস্থায় যে কোনো শিক্ষক-কর্মচারির নিয়োগ সংক্রান্ত এমপিও ভূক্তির আবদেন ফাইল অগ্রবর্তী করার নিয়ম নেই। কিন্ত রহস্যজনকভাবে উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের আবেদন ফাইল অগ্রবর্তী করেছে।
অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম তার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তথ্য গোপন করে নিয়োগ এমপিও’র ফাইল উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন। চুড়ান্ত এমপিও ভূক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে উপস্থাপন করেছেন।
জানা গেছে, জুড়ী উপজেলার ফুলতলা বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে গত ২৬ জুন নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছয়জন প্রার্থী অংশ নেন। প্রধান শিক্ষক প্রার্থী মো. আব্দুল জলিল ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় এক ঘন্টার মধ্যে তিনি ৭০ নম্বরের উত্তর লিখেন। উপস্থিত পর্যবেক্ষকগণ কম সময়ে সঠিক উত্তর লেখা দেখে বিস্মিত হন। কিন্তু প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতারা নিয়োগ বাণিজ্য করে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে নজরুল ইসলাম নামক প্রার্থীকে প্রধান শিক্ষক পদে নির্বাচিত করেন। দুর্নীতির মাধ্যমে এই নিয়োগের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। ক্ষোভ ও অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ এলাকাবাসি ও বিদ্যালয়ের শুভাকাংখিরা মানববন্ধন কর্মসূচির পালন করেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুছ, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ও অভিভাবকরা নিয়োগের উপর মৌলভীবাজার জজকোর্টে ১৯২/২৪ স্বত্ত মামলা ও পরে ইনজাংশন পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলা দু’টি চলমান ও নিয়োগ ইনজাংশন প্রত্রিয়াধীন অবস্থায় মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলি গোপন রেখে প্রধান শিক্ষকের এমপিও ভূক্তির ফাইল অগ্রবর্তী করা হয়েছে।
এব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ জানান, এমপিও আবেদন ফরমে মামলা আছে কি-না কলাম রয়েছে। ফুলতলা বশিরউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, জুড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এই কলামে মামলা না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এই সংক্রান্ত আইনগত কোনো জটিলতা দেখা দিলে তারাই এর দায় নিবে।
Leave a Reply