ছাতক-দোয়ারাবাজারে : ধানের শীষের কান্ডারী মিলন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শাকিব খানের সাথে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন পাকিস্তানী  হানিয়া আমির ধানের শীষ উন্নয়ন অগ্রগতির ও সমৃদ্ধির প্রতীক : হাজী মুজিব বৃটেনে কুলাউড়ার মেয়ে পুষ্পর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন মৌলভীবাজার ১ ও ২ আসনে প্রার্থীতা ঘোষণা করলেন বাবুল আহমেদ দুবাইয়ে লটারীতে নিশান গাড়ী জিতলেন বাংলাদেশি কচাকাটায় এসএসবিসি প্রকল্পের আয়োজনে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা ছাতক পৌরসভার উদ্যোগে দ্বিতীয় মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় ধানের শীষের প্রার্থী শওকতুল ইসলামের সমর্থনে বিশাল শো ডাউন জাতীয় নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট : প্রধান উপদেষ্টা ইউনাইটেড নেশনস-এর কনফারেন্স ও জাতিসংঘে বাংলা ‘ স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ছাতক-দোয়ারাবাজারে : ধানের শীষের কান্ডারী মিলন

  • বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

Manual5 Ad Code

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::

সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন তীব্র আলোচনা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে এখানে নতুন করে জেগে উঠেছে আন্দোলন-সংগ্রামের উচ্ছ্বাস।

এই আসনে দীর্ঘ ১৬ বছরের অগ্নিপরীক্ষা পেরিয়ে মাঠে ফিরেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য ক‌লিম উদ্দিন আহমদ মিলন।

Manual8 Ad Code

দীর্ঘ দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা ও কারাবরণের সময়েও তিনি বিএনপির পতাকা কখনও মাটিতে পড়তে দেননি। তাঁর আপোসহীন নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি এখন ঐক্যবদ্ধ, সংগঠিত এবং মাঠমুখী রাজনীতিতে সক্রিয়।

ফলে, দলীয় সূত্র বলছে— কেন্দ্রীয় পর্যায়ের আলোচনায় সুনামগঞ্জ-৫ আসনে “ধানের শীষের কান্ডারী” হিসেবে ক‌লিম উদ্দিন আহমদ মিলনকে দেখা যেতে পারে বলেই ইঙ্গিত মিলছে।

কারাবরণ, হামলা, তবুও আপসহীন ২০০৮ সালের পর থেকে বিএনপির রাজনীতির কঠিন সময় শুরু হলে, ছাতক-দোয়ারাবাজার অঞ্চলে একের পর এক মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ও হামলার মুখে অনেকেই নীরব হয়ে পড়েন। কিন্তু মিলন তখনই দাঁড়ানপ্রতিরোধের সামনের সারিতে। দলীয় নেতাকর্মীদের একত্রিত করে আন্দোলনকে সচল রাখেন তিনি একাধিকবার কারাভোগ করেছেন, থেকেছেন নির্যাতনের মুখে, কিন্তু কোনোদিনও আপস করেননি।

Manual7 Ad Code

তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরা বলেন, “মিলন ভাইকে নির্যাতন, গ্রেপ্তার বা ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যায়নি। তিনি সবসময় বলেছেন— ‘গণতন্ত্রের পতাকা কোনো মূল্যে মাটিতে পড়তে দেওয়া যাবে না।’”

জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন,“যখন সবাই ভীত, তখন মিলন ভাইই ছিলেন আশ্রয়। আমরা তাঁর কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে আন্দোলন মানে শুধু স্লোগান নয়, সংগঠনও।”সফল সভাপতি থেকে কেন্দ্রীয় নেতা: মাঠে মিশে থাকা রাজনীতিক সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটিতে মিলন ছিলেন সভাপতি। তাঁর নেতৃত্বে দল নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়।

জেলার ১১টি উপজেলা ও ৮৮টি ইউনিয়নে সংগঠনকে পুনর্গঠন করেন তিনি। দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করেন মাঠপর্যায়ে। ফলে, আজ ছাতক-দোয়ারাবাজার অঞ্চলে বিএনপি আগের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ।

স্থানীয় রাজনীতিবিদদের ভাষায়,“মিলন শুধু রাজনীতিবিদ নন, তিনি মাঠের কর্মীর মতো কাজ করেন। সভা-সমাবেশে নিজে উপস্থিত থাকেন, গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের কথা শোনেন।”
বিগত ১৬ বছর ধরে তিনি প্রতিদিন গ্রাম, বাজার ও শহরে উঠান বৈঠক করে যাচ্ছেন। তরুণ প্রজন্ম, কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও প্রবাসীরা এখন তাঁর চারপাশে সংগঠিত হচ্ছে।

জনগণের দুয়ারে মিলনের কড়া নাড়া সম্প্রতি ছাতক ও দোয়ারাবাজারের বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে— বিএনপির সাধারণ কর্মীদের মধ্যে এক নতুন উদ্দীপনা। তাদের ভাষায়, “এবার আমরা বিশ্বাস করি, ধানের শীষের আসল কান্ডারী ফিরে এসেছেন।”

Manual6 Ad Code

ছাতকের গোবিন্দগঞ্জের বিএন‌পির ন‌জির আহমদ  বলেন,“আমরা মিলনকে শুধু রাজনীতিক হিসেবে দেখি না, তিনি আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন। খরা বা বন্যা যাই হোক, তিনি মাঠে থাকেন।”

দোয়ারাবাজারের তরুণ ব্যবসায়ী সুমন মিয়া বলেন,“এই অঞ্চলে বিএনপির ভোট সবসময় ছিল, কিন্তু নেতৃত্ব ছিল না। এখন মিলন ভাই ফিরে আসায় সবাই আবার এক জায়গায়।”

ছাতক পৌর বিএনপি যুন্ম সম্পাদক শামছুর রহমান বাবুল ব‌লেন জেলা জন‌প্রিয় নেতা হচ্ছেন  মিলন। তার উপস্থিতিতে পুরো জেলায় নতুন উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর সফর মানেই মাঠে মানুষের ঢল। কেন্দ্রের আস্থা ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু দলীয় নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী তালিকায় মিলনের নাম এখন আলোচনার শীর্ষে।

তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা, আন্দোলনকালীন সাহস, এবং তৃণমূলের অটল সমর্থন তাঁকে “বিশ্বস্ত নেতা” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।এক কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,“দলে অনেকেই মাঠে নামেন না, কিন্তু মিলন প্রতিনিয়ত মাঠে। তাঁর মতো নিবেদিত নেতাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারে।”বিএনপির জনপ্রিয় মুখপাত্র: মিডিয়ায় সাহসী কণ্ঠ বিগতবছরগুলোতে বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে মিলন ছিলেন বিএনপির অন্যতম জনপ্রিয় মুখপাত্র।যে সময় অনেকেই মিডিয়ায় দলের পক্ষে কথা বলতে ভয় পেতেন, সে সময় মিলন খোলামেলা বক্তব্য দিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,“সাহসিকতার দিক থেকে মিলনই ছিলেন সুনামগঞ্জ বিএনপির প্রতীক। তাঁর যুক্তিনির্ভর বক্তব্য শুধু দলের কর্মীদের নয়, সাধারণ দর্শকদের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।”তৃণমূলের নীরব জোয়ার: ধানের শীষের জন্য এক সুর দীর্ঘদিন পর এই আসনে আবারও ধানের শীষের পক্ষে নীরব স্রোত বইছে। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দলীয় কর্মীরা নিজেরা প্রচার শুরু করেছেন। প্রবাসীদের মধ্যেও মিলনের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাজ্য, দুবাই ও সৌদি প্রবাসী বিএনপি নেতারাও তাঁর পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক বলেন,“মিলন ভাইকে সবাই মনে করে— তিনিই বিএনপির পতাকা, তিনিই গণমানুষের প্রতীক।”সংগ্রামের নেতা থেকে জনগণের প্রতিচ্ছবি রাজনীতিতে তাঁর যাত্রা শুরু ছাত্রজীবনে। তারপর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য এবং পরে কেন্দ্রীয় নেত— প্রতিটি পদেই তিনি দলের প্রতি আনুগত্য ও কর্মীদের প্রতি দায়িত্ববোধ দেখিয়েছেন।
দলীয় সহকর্মীরা বলেন, “তিনি কখনো নিজের স্বার্থের রাজনীতি করেননি।” দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতায় তিনি বুঝেছেন, মানুষের উন্নয়ন মানে শুধু সড়ক বা ভবন নয়, বরং মানুষের অধিকার ও স্বাধীন মতপ্রকাশের নিশ্চয়তা।

তাঁর লক্ষ্য এখন এই অঞ্চলের জনগণের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধার করা। “আমরা ভোট চাই না, ন্যায় চাই” — মিলনের বার্তা সাম্প্রতিক এক জনসভায় মিলন বলেন, “আমরা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করি না। আমরা সেই বাংলাদেশ চাই, যেখানে মানুষের ভোটের অধিকার থাকবে, যেখানে গণতন্ত্র ফিরবে।”

তিনি আরও বলেন, “ছাতক-দোয়ারাবাজারের মানুষ আজও দমন-পীড়নের শিকার। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, এই মাটির মানুষই একদিন ধানের শীষের পতাকা উঁচু করবে। ভরসার প্রতীক: “ধানের শীষের কান্ডারী”
দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ মনে করছেন, ক‌লিম উদ্দিন আহমদ মিলন এখন কেবল বিএনপির প্রার্থী নন, তিনি পরিবর্তনের প্রতীক।

তাঁর নেতৃত্বে শুধু দল নয়, পুরো অঞ্চলের মানুষ এক বিশ্বাসে একত্রিত হচ্ছে— মুক্তি ও গণতন্ত্রের স্বপ্নে। সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুল কাইয়ুম বলেন,“আমরা যাকে খুঁজছিলাম, তিনি ফিরে এসেছেন। মিলন ভাই-ই আমাদের কান্ডারী।”

ছাতক-দোয়ারাবাজার এখন এক নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলেছে। ১৬ বছরের অগ্নিপরীক্ষা, শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে মিলন আজ বিএনপি ও গণমানুষের এক নির্ভরতার প্রতীক।

Manual4 Ad Code

দলীয় সূত্র বলছে, কেন্দ্রীয় নেতারা তাঁর মনোনয়নকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছেন। যে মানুষ নির্যাতনের ভয়েও দলের পতাকা নামতে দেননি— সেই মানুষ এখন ছাতকদোয়ারাবাজারের মানুষের আশা-ভরসার নাম:ক‌লিম উদ্দিন আহমদ মিলন, ধানের শীষের কান্ডারী।###

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code