আব্দুর রব, বড়লেখা ::
সোমবার নির্বাচন কমিশন ঘোষিত প্রথম ধাপে প্রথম বারের মতো ইভিএমে বড়লেখা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপির নির্বাচনী এলাকার একমাত্র শহরে কে হচ্ছেন চতুর্থ পৌর পিতা এ নিয়ে সাধারণ জনগণ ও ভোটারের মধ্যে কৌতুহলের শেষ নেই। সকালে শহরের পাখিয়ালা চৌমুহনীর সিংহগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুল ইসলাম (মোবাইল ফোন)। এছাড়া নয়টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৪৩ জন।
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মতে বিগত দিনে পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়নের কারণে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন নৌকার মেয়রপ্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী। তিনি ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে প্রথম মেয়র (পৌরসভার তৃতীয় নির্বাচিত মেয়র) নির্বাচিত হন। নির্বাচনের আগে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারের প্রায় ৮০ ভাগই তিনি পুরণ করেছেন। অন্য কোন প্রার্থী ভোটারের কাছে কোন ইশতেহার ঘোষণা করেননি। এবারো মেয়র কামরান ৩৬ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে ভোটারের ভোট চেয়েছেন।
সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মেয়রপদে মুলত: লড়াই হবে নৌকা আর ধানের শীষের প্রার্থীর মধ্যে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীও শেষমেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চলে আসলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বড়লেখা পৌরসভায় একটি সংগঠনের প্রায় ৩ হাজার ভোট ব্যাংক রয়েছে। শোনা যাচ্ছে এ ভোট ব্যাংকের আর্শীবাদ রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুল ইসলামের প্রতি। এক্ষেত্রে ভোটের হিসেব নিকেশ পাল্টে যেতে পারে বলে অনেকে মন্তব্য করছেন। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ইভিএম নিয়ে এক ধরনের সংশয় ও প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে। কিভাবে তারা ভোট দেবেন। ইভিএম এর ভোটগ্রহণ নিয়ে শনিবার অনুষ্ঠিত ‘মক’ ভোটে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। আধা শহর আধা গ্রাম ধরণের বড়লেখা পৌর শহরের সাধারণ মানুষ ইভিএমে কোনোদিন ভোট দেয়নি। তাছাড়া ইভিএমে ভোট প্রদান সময় সাপেক্ষ হওয়ায় ভোট নিয়ে এক ধরনের অবিশ্বাস ও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বড়লেখার নির্বাচনে আঞ্চলিকতা বা এলাকা ইজম একটা ফ্যাক্টর হয়ে থাকে। এরকম হিসাব নিকাশ হলে ভোটের হিসাবে শেষ পর্যন্ত চমক সৃষ্টি হতে পারে।
নির্বাচনের আগের রাতে অনেক কিছুই স্বাভাবিকতা হারায়। তেমন কিছু ঘটলে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশংকা রয়েছে।
ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান ও ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও মুক্ত পরিবেশে ভোট উৎসব হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য সবধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।#
Leave a Reply