আব্দুর রব, বড়লেখা ::
বড়লেখা নারীশিক্ষা একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের কিছু জমি দীর্ঘদিন ধরে পতিত ছিল। পাঠদানের পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে সহকারী শিক্ষকরা কয়েক বছর ধরে সেখানে শীতকালীন সবজি চাষ করছেন। তবে এবার দেশিয় সবজির পাশাপাশি ব্রোকলিসহ বিদেশি নানা প্রজাতির সবজির চাষ করে সর্ব মহলে চমক সৃষ্টি করেছেন। স্কুলটি প্রধান সড়কের পাশে হওয়ায় দৃষ্ঠিনন্দন সবজি ক্ষেতে দর্শনার্থীরাও ভিড় জমাচ্ছেন।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ১৫-১৬ শতক জায়গাজুড়ে বাঁশ ও জালের বেড়ায় ঘেরা সবজির বাগান। ভেতরে বিভিন্ন প্রজাতি ও রঙের দেশি-বিদেশি বাহারি সবজি। বিদেশির মধ্যে ব্রোকলি, হলুদ স্কোয়াশ ও কালো টমেটো। দেশীয় সবজির মধ্যে গাজর, ফুলকপি, মুলা, মরিচ ও বাঁধাকপি রয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। এ সময় কয়েকজন শিক্ষককে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকতেও দেখা যায়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম জানান, ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও মৌলভীবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী জাপান থেকে আনা বিভিন্ন প্রজাতির কিছু সবজির চারা তাদেরকে দেন। এরপর ফাঁকা জায়গাটিতে তারা এসব সবজির চারা লাগান। সেই থেকে স্কুল প্রাঙ্গণে সবজি চাষ শুরু। প্রথম দিকে তেমন সফলতা মেলেনি। পরে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও সার-বীজের সহযোগিতা পেয়ে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির সবজির চাষ করেন। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু ভিনদেশি সবজি। জমি পরিচর্যায় বেশি সময় দেন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক। সবজি চাষে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করা হয়েছে। কোনো ধরনের কীটনাশকও ব্যবহার করা হয়নি। সবজি চাষে তাদের ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। স্কুলের ১৯ জন স্টাফ প্রয়োজন মতো নেয়ার পরও ইতিমধ্যে ৮-১০ হাজার টাকা সবজি বিক্রি করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ দেবল সরকার জানান, স্কুলের আঙ্গিনায় পতিত ভুমিতে শিক্ষকদের সবজির চাষ অন্যান্যদের উদ্বুদ্ধ করতে সহায়তা করবে। নারীশিক্ষা একাডেমির মাধ্যমিক সেকশনের শিক্ষকদের সবজি চাষে সবধরণের পরামর্শ দিয়েছেন। কৃষি বিভাগ চায় এভাবে সবাই স্বপ্রণোদিত হয়ে সবজি চাষে এগিয়ে আসেন। এতে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হওয়া যায়।#
Leave a Reply