এইবেলা, কুলাউড়া ::
দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর কুলাউড়া পৌরসভার মেয়রের চেয়ারে বসলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ। সেই সাথে নৌকার বিজয় দেখলো কুলাউড়ার মানুষ।
ব্যক্তি ইমেজ, নির্বাচনে বিচক্ষণতা দেখিয়ে কুলাউড়া পৌরসভায় বাজিমাত করেন নব নির্বাচিত পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ।
১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে কুলাউড়ায় নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করে এমপি হয়েছিলেন ঢাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। এরপর থেকে জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার পালে হাওয়া লাগাতে পারেন নি কেউ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছিলো এর মুল কারণ। যদিও বিগত ইউনিয়ন নির্বাচনে ১৩ ইউনিয়নের ৪ ইউনিয়নে নৌকা ভাসলেও উপেক্ষিত ছিলো বেশীর ভাগ ইউনিয়ন।
কুলাউড়ার বিপরীত স্রোতে নৌকা যখন কোন কূল কিনারা পাচ্ছিলো না, ঠিক তখন অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ পৌর নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়ে সেই খরা কাটালেন ।
পরিকল্পিত মাঠ প্রচার, পৌরসভার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বিনিময়ে ছিলেন বেশ কৌশলী। শক্ত হাতে বৈঠা বেয়ে নৌকাকে ঠিকই তীরে ফেরালেন তিনি।
প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী থেকে ১৫৩ ভোটের ব্যবধানে নৌকার পালে বিজয়ের হাওয়া লাগালেন। সেই সাথে হেভিওয়েট ২ মেয়র প্রার্থী ছিটকে গেলেন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুল রেস থেকে। কালা টাকার নগ্ন খেলার সেই উন্মাত্ত নাচন এই নির্বাচনের মাধ্যমে বন্ধ হবে এমন আশা পৌরবাসীর।
দায়িত্ব গ্রহণকালে অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ হলো গণমানুষের সংগঠন। আমি এই সংগঠনের একজন কর্মী। রাজনীতির অর্থই হলো জনসেবা। রাজনীতি করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মেখ মুজিবুর রহমান মাটি ও মানুষের জন্য জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। উনার আদর্শে আমি রাজনীতি করি। উনাকে অনুসরণ করে আমিও মানুষ ও জনপদের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। তাইতো মানুষ আমাকে তাদের সেবা করার জন্য পৌর মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেভাবে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন, এরই ধারাবাহিকতায় উনার প্রতিনিধি হিসেবে কুলাউড়ার উন্নয়নেও আমি ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবো। এজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।#
Leave a Reply