প্রধান অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ জন খালাস-
এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে টিলাকাটার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে একই পরিবারের ৪ জনকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর। ১১ এপ্রিল রোববার পরিবেশ অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে শুনানীতে অভিযুক্তদের এই জরিমানা করা হয়।
এছাড়া টিলা কাটার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন প্রধান অভিযুক্ত ভাটেরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম ছাড়াও আব্দুছ শুকুর ও বেগুন বেগম নামক স্থানীয় দু’জন অভিযুক্ত।
যে ৪ জনকে জরিমানা করা হয়েছে তারা হলেন- ভাটেরা ইউনিয়নের ইসলামনগরের বাসিন্দা মৃত তৈয়ব আলীর ৪ পুত্র নুরই মিয়াকে ১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, মতিন মিয়াকে ১২ হাজার ৫শ টাকা, সিরন মিয়াকে ১২ হাজার ৫শ টাকা, নিজাম মিয়াকে ১২ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদফতর মৌলভীবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে টিলাকাটার সাথে জড়িত থাকার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় ১১ এপ্রিল রোববার শুনানীতে অংশগ্রহণের নোটিশ দেন।
রোববার শুনানী পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন।
ইউপি চেয়ারম্যান কিভাবে অব্যাহতি পেলেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদফতরের সহকারি পরিচালক বদরুল হুদা কোন সুদুত্তর না দিয়ে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ভালো বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে ভাটেরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম জানান, টিলা থেকে মাটি ধসে স্কুল ও মসজিদের দেয়ালে ধ্বসে পড়বে। তাই জনস্বার্থে ধ্বসে পড়া মাটিগুলো এলাকাবাসী সরিয়ে নেয়। মাটি বিক্রির অভিযোগ মিথ্যা। প্রতিপক্ষ নির্বাচনী ফায়দা লুটার জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরায় টিলার মাটি কেটে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন থেকে মাটি বিক্রি করছে। এই টিলা কাটা ও মাটি বিক্রির অভিযোগ এনে স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যানসহ ৭ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।#
Leave a Reply