নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভীড় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভীড় – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা বিতরণ আত্রাইয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা পেলো স্কুল ব্যাগ আত্রাইয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ পড়াশোনার চাপ ও ব্যস্ততা থেকে সাময়িক মুক্তির উদ্দেশ্যে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীদের দিনব্যাপী ডে-আউট ছাতকে বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক মো. আবু হেনা সাময়িক বরখাস্ত নিটার-ডাচ বাংলা ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি : সব ধরনের ফি সহজে দ্রুত সাশ্রয়ী খরচে পরিশোধ কুলাউড়ায় ‘শ্রমজয়ী চা নারী জোট’ গঠন ও আত্মপ্রকাশ কমলগঞ্জ উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কমিটি গঠন ছাত‌কে গায়েবি প্রশিক্ষণের টাকা সরকারি কর্মকর্তার পকেটে!

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভীড়

  • রবিবার, ১৬ মে, ২০২১

এইবেলা, সিলেট ::

সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ঈদের দিন থেকেই ভীড় করেছেন পর্যটকরা। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা, আইনশৃঙ্খলার দায়ীত্বে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। এপ্রিল মাস থেকে বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় ঈদের দ্বিতীয় দিন শনিবার সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় করেছেন পর্যটকরা। দর্শনার্থীদের মাঝে নেই তেমন করোনা সচেতনতা। সেখানে মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব, অধিকাংশেরই মুখে নেই মাস্ক। যদিও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় প্রশাসন।

পাশাপাশি পর্যটকদের যাতায়াতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ঈদের ছুটিতে সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভীড় করেন অসংখ্য পর্যটক। সিলেটের বিভিন্ন চা বাগান, কোম্পানিগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ও জাফলং, জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর ও লালাখালে গিয়ে দেখা গেছে পর্যটকদের ভীড়। বেশির ভাগ পর্যটকদের মুখেই নেই মাস্ক। নেই সামাজিক দূরত্বেরও। নিষেধাজ্ঞার কারনে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার পর্যটক সমাগম অনেকটা কম। তবু অনেকেই এসব স্থানে বেড়াতে এসেছেন। পরিবার নিয়েও এসেছেন কেউ কেউ।

পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভীড় ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বেসরকারি সংস্থার উপজেলা কো-অর্ডিনেটর শফিউল আলমের সাথে একজন সংবাদকর্মীর কথা হয়। সংবাদকর্মী বলেন- সবুজ পাহাড় বেয়ে নেমে আসা ঝর্ণার পানিতে চিকচিক করছে অসংখ্য পাথর। নৈসর্গিক এ দৃশ্য দেখতে প্রতিবারের ন্যায় এবারও গোয়াইনঘাটের জাফলং ও বিছনাকান্দিতে ভীড় করেছেন পর্যটকরা। করোনা পরিস্থিতির বিধিনিষেধের জন্য অন্যান্যবারের তুলনায় এবার পর্যটক সমাগম অনেকটা কম বলে তিনি জানান।

এছাড়া পরিবার নিয়ে জাফলং বেড়াতে যাওয়া শফিউল আলম বলেন, আমরা পরিবারের লোকজন নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বেড়াতে এসেছি। তবে এখানে এত ভিড় হবে বুঝিনি। হরিপুর থেকে একদল যুবক যান কোম্পানিগঞ্জ। তারা ফিরে এসে জানান, প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ কোম্পানিগঞ্জের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভীড় করেন অসংখ্য পর্যটক।

ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ঈদের দিন থেকেই ভিড় করেন অসংখ্য পর্যটক। তবে শনিবার পর্যটকের সংখ্যা কয়েকগুন বেড়ে গেছে বলে তারা জানান।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে জড়ো হওয়া পর্যটকদের সকলেই সিলেটের বাসিন্দা। বাইরের জেলা থেকে এবার কেউ আসেননি। করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষিতে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবৎ রয়েছে।

গোয়াইনঘাটের জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, কোম্পানিগঞ্জেরর সাদাপাথর, জৈন্তাপুরের শ্রীপুর, লালাখাল পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান। এখানকার চা বাগান দেখতেও আসেন অনেক পর্যটক। সারাবছরই সিলেটে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তবে ঈদ মৌসুমে তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে গত এপ্রিল থেকে প্রায় পর্যটকশূন্য অবস্থায় রয়েছে সিলেট। এতে লোকসান গুণতে হচ্ছে পর্যটনখাতের উদ্যোক্তাদের। এই ঈদেও বাইরের পর্যটকরা আসেননি।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews