ভারতে সাজাভোগের পর ৪২ বাংলাদেশীর দেশে প্রত্যাবর্তন ভারতে সাজাভোগের পর ৪২ বাংলাদেশীর দেশে প্রত্যাবর্তন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
লন্ডনে বড়লেখা ফাউন্ডেশন ইউ.কে নেতৃবৃন্দের সাথে ব্যবসায়ি সাইদুল ইসলামের মতবিনিময় জুড়ীতে স্থলবন্দর চালুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দলের এলাকা পরিদর্শন বড়লেখা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়াজ উদ্দীন কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান কুলাউড়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৩ জনকে জরিমানা জুড়ীতে গাড়ি থামিয়ে বড়লেখার এক প্রবাসি ব্যবসায়িকে মারধর, টাকা লুট : থানায় মামলা কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করেপাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ : বনবিভাগ- খাসিয়াদের মধ্যে উত্তেজনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪: কমলগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা কুড়িগ্রামে আপন চাচির বটির কোপে ২ বছরের শিশুর মাথা বিচ্ছিন্ন কুলাউড়ায় মোঃ আব্দুল মতিন স্যার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত কুলাউড়ায় ২ টি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

ভারতে সাজাভোগের পর ৪২ বাংলাদেশীর দেশে প্রত্যাবর্তন

  • সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০

৩০ বছর পর বাবা-ছেলের মিলন

আব্দুর রব, বড়লেখা থেকে :

বড়লেখার ২ যুবকসহ ৪২ বাংলাদেশী ভারতের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে (কারাগার) সাজাভোগের পর দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশু। যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বছরের পর বছর ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী ছিলেন।

০২ নভেম্বর সোমবার বিকেলে বিয়ানীবাজারের শেওলা সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ও ভারতীয় সীমান্ত পুলিশ তাদেরকে বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। ৩০ বছর পর ছেলের সাথে দেশে প্রত্যাবর্তনকারী বাবার দেখা হলে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আসামের গোহাটিস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার তানভীর মনসুর রনি ও মৌলভীবাজারের সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় ভারতের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে থাকা সাজার মেয়াদ শেষ হওয়া এসব বন্দীরা তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে এসেছে।

বিয়ানীবাজার বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দেশে প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে রয়েছেন পিরোজপুর জেলার ৪ পরিবারেরই ১৬ জন, বাঘেরহাটের ৩ জন, চট্টগ্রামের ৬ জন, মৌলভীবাজার ও সিলেটের ৭ জন, দিনাজপুরের ১ জন, গোপালগঞ্জের ১জন, নোয়াখালীর ১ জন, কুমিল্লার ১ জনসহ মোট ৪২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু।

বিকেল ৪ টায় বিএসএফ ও ভারতীয় সীমান্ত পুলিশ বিয়ানীবাজার বিজিবি, থানা পুলিশ ও শেওলা ইমিগ্রেশন পুলিশের নিটক প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশীদের হস্তান্তর করেছে। এসময় করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মায়াঙ্ক কুমার, বিয়ানীবাজার থানার ওসি কল্লোল রায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও ভারতের কারাগারে সাজাভোগী বাংলাদেশীদের দেশে প্রত্যাবর্তন কাজের সমন্বয়কারী সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাস, শেওলা ইমিগ্রেশন পুলিশ চোকপোস্টের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম, বিজিবি বড়গ্রাম ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার জসিম উদ্দিন, বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নয়ন কুমার মল্লিক প্রমুখ উপিস্থিত ছিলেন।

কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থানার মন্তাজ মিয়া ৩০ বছর আগে ভারতে নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন ধরেই নিয়েছিল তিনি আর জীবিত নেই। আসামের গোহাটীর বাংলাদেশ দুতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার তানভীর মনসুর রনি ও মৌলভীবাজারের সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাসের তৎপরতায় তার সন্ধান পায় পরিবার। তাকে নিতে শেওলা সীমান্তে আসেন তার ৩১ বৎসরের যুবক ছেলে আমির হোসেন। ৩০ বছর পর ছেলেকে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মন্তাজ মিয়া (৬৬)। এসময় শেওলা চেকপোষ্টে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

শেওলা চেকপোষ্টের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম জানান, ভারত থেকে সাজাভোগের পর ৪২ জন বাংলাদেশী তার চেকপোষ্ট এলাকা দিয়ে সোমবার বিকেলে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাদের স্বজনরা তাদেরকে নিতে পূর্ব থেকেই অপেক্ষা করছিলেন। মেডিকেল টেষ্টসহ প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্বজনদের নিকট প্রত্যাবর্তনকারীদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews