কমলগঞ্জে ফসল রক্ষায় কৃষকের রাত জেগে ধান পাহারা কমলগঞ্জে ফসল রক্ষায় কৃষকের রাত জেগে ধান পাহারা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ১১:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় জয়চন্ডী ইউনিয়ন যুব উন্নয়ন পরিষদের আত্মপ্রকাশ বড়লেখার দেওছড়া খাল দখল ও ভরাট : পানি নিষ্কাশন প্রতিবন্ধকতায় ভাঙ্গছে রাস্তা কুলাউড়ায় স্বামী-স্ত্রীর অপকর্মে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী : প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন- কুলাউড়ায় কলেজ ছাত্রের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কুড়িগ্রামে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা নাগেশ্বরীতে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা যুক্তরাজ্য থেকে কমলগঞ্জের নিজ এলাকায় ফেরায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা কমলগঞ্জে সড়ক সংস্কার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ইটের খুয়ার পরিবর্তে ইটের গুড়া ! ইউএনও’র সরেজমিন পরিদর্শন বড়লেখায় ওয়ালটন প্লাজার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প জুড়ীতে ৬৫ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে বকনা গরু বিতরণ

কমলগঞ্জে ফসল রক্ষায় কৃষকের রাত জেগে ধান পাহারা

  • শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বুনো শুকরের হানায় নষ্ট হয়েছে প্রায় এক হাজার একর জমির আমন ও সবজিখেত। এক মাস ধরে উপজেলার প্রায় ছয়টি এলাকায় চলছে এই তা-ব। পাকা ধান ঘরে তোলার সময় এ ভোগান্তিতে ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। এ অবস্থায় বুনো শুকর থেকে ফসল বাঁচানোর জন্য রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা।

কৃষকরা অভিযোগ করে জানান, লংগুরপার, দক্ষিণ বালিগাঁও, বাঘমারা, সরইবাড়ি, ভেড়াছড়া, ছাতকছড়া এলাকার ফসলি জমিতে লাউয়াছড়া বনের বুনো শুকর প্রতি রাতে হানা দেয়। আমন পাকা ধান ও শীতকালীন সবজিখেতে শুকরের দল এসে তা নষ্ট করে। ধান, আলু, মুলা এমনকি কলাগাছসহ বিভিন্ন গাছ উপড়ে ফেলে।

এদিকে শুকর তাড়ানোর চেষ্টা করলে উল্টো মানুষকে ধাওয়া করে। সারা দিন কাজ করে আবার রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয়। কৃষকেরা বুনো শুকরের হানায় ফসল মাঠে রাখতে পারছেন না।

শীতের মধ্যে পাকা ধান রক্ষায় মাঠে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে পাহারা দেন কৃষকেরা। সঙ্গে রাখেন প্লাস্টিক ও টিনের তৈরি ড্রাম। কিছুক্ষণ পর শব্দ করে চিৎকার করেন, যাতে শুকর চলে যায়। কৃষক জাহির মিয়া ফসলি মাঠে বাঁশ দিয়ে ৪ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মাচা তৈরি করে রাতে বসে থাকেন শুকর তাড়ানোর জন্য।

জাহির মিয়া বলেন, ‘শুকর আমাদের সব ফসল নষ্ট করে ফেলছে। এ অবস্থায় প্লাস্টিক ও টিনের ড্রামের শব্দ করে রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয়। এসব শুকর মানুষকেও আক্রমণ করে। এ কারণে ৪ ফুট উঁচুতে বাঁশের মাচা তৈরি করেছি, যাতে বন্য শুকর আক্রমণ করতে না পারে।’

এভাবে মাচা তৈরি করে রাতভর পাহারা দিচ্ছেন কৃষক মুরাজ মিয়া, আবুল হোসেন, কৈইনুর, দুলাল মিয়া। ফসল কাটার আগ পর্যন্ত চলবে তাঁদের পাহারা দেওয়ার কাজ। তবে বুনো শুকরের আক্রমণ ঠেকাতে এখন পর্যন্ত সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে দাবি করেন কৃষকেরা।

পরিবেশবাদী সংগঠন জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি, কমলগঞ্জ এর সাধারণ সম্পাদক মো. আহাদ মিয়া বলেন, বন উজাড় ও বনভূমি বেদখল হওয়ার কারণে এখন বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। আগে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে হানা দেয়নি, মানুষের কোনো ক্ষতি করেনি। লাউয়াছড়ার বেদখল বনভূমি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণীদের জন্য বনজ গাছ লাগানোর দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বন্যপ্রাণীর নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নেই। বন্যপ্রাণীরা খাবারের জন্য লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। বিশেষ করে বুনো শুকর ধান খেতে পছন্দ করে, মূলত পাকা ধান খাওয়ার জন্য ফসলের মাঠে হানা দিচ্ছে শুকরের দল।

শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বুনো শুকরের বংশবিস্তার আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। শুকরের দলের বনের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে বিচরণ করা স্বাভাবিক বিষয় হলেও ফসল নষ্ট হওয়ায় ঘটনা দু:খজনক।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews