বড়লেখার শাহনাজ পারভীন : শিক্ষক থেকে সফল ব্যবসায়ি বড়লেখার শাহনাজ পারভীন : শিক্ষক থেকে সফল ব্যবসায়ি – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তীব্র জনবল সংকট ও তহবিলের ঘাটতির কারণে স্বাস্থ্য সেবা ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ব্যাহত হচ্ছে আত্রাইয়ে মহাসড়কে ঝরল এক এনজিও কর্মীর প্রাণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আত্রাইয়ে তিন পদে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল কুলাউড়ায় দুই নেত্রীর লড়াইয়ে কে হাসবেন শেষ হাসি? প্রকপ্ল পরিদর্শণে কুলাউড়ায় ইউনিসেফ ওয়াশ ন্যাশনাল কনসালটেন্ট কমলগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ও গাছের চারা বিতরণ লন্ডনে বড়লেখা ফাউন্ডেশন ইউ.কে নেতৃবৃন্দের সাথে ব্যবসায়ি সাইদুল ইসলামের মতবিনিময় জুড়ীতে স্থলবন্দর চালুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দলের এলাকা পরিদর্শন বড়লেখা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়াজ উদ্দীন কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান কুলাউড়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৩ জনকে জরিমানা

বড়লেখার শাহনাজ পারভীন : শিক্ষক থেকে সফল ব্যবসায়ি

  • শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়লেখা ::

বড়লেখা উপজেলার ঈদগাহ বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০০১ সালে খন্ডকালিন শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন শাহনাজ পারভীন চৌধুরী (বি.এড)। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরিরত অবস্থায় দ্বিতীয় ছেলের কঠিন অসুখের কারণে শিক্ষকতা পেশার ইতি টানেন। এরপর চাকরির পেছনে না ছুটে একটি সেলাই মেশিন কিনে বাসায় বসে শুরু করেন সেলাইয়ের কাজ। সেখান থেকেই আজ সফল ব্যবসায়ি ও অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জকারী নারী উচ্চ শিক্ষিত শাহনাজ পারভীন চৌধুরী। গত বছর তিনি উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচিত হয়েছেন শ্রেষ্ট জয়িতা। বড়লেখায় অসচ্ছল নারীদের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে ভবিষ্যতে তিনি একটি গার্মেন্টস শিল্প কারখানা তৈরীর স্বপ্ন দেখছেন।

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার চরগাঁওয়ের বীব মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও নূরজাহান বেগম চৌধুরীর মেয়ে শাহনাজ পারভীন চৌধুরী বিবাহ সূত্রে ২০০১ সালে বড়লেখায় আসেন। স্বামী কেছরিগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান। ১৯৯৮ সালে বিএসএস ও ২০০০ সালে বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন।

আলাপচারিতায় জীবনযুদ্ধে সফলতা অর্জনকারি শাহনাজ পারভীন চৌধুরী জানান, ছেলের অসুস্থতা জনিত কারণে শিক্ষকতার চাকরি ছাড়ার পর ছেলের চিকিৎসা ব্যয় ও পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য বাসায় বসে সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন। ২০০৮ সালে ঢাকা থেকে থান কাপড় কিনে স্কুল ড্রেস ও আনরেডি ড্রেস বিক্রি শুরু করেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায় সফলতা আসছে দেখে উপজেলা সদরের একটি মার্কেটে দোকান কোটা ভাড়া নেন। সেখানে ‘লেডিস কর্ণার এন্ড টেইলার্স’ নাম দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ইসলামি ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা লোন তুলে বৃদ্ধি করেন ব্যবসার পরিসর। উচ্চ শিক্ষিত হয়েও আর চাকরি খুঁজেননি। সততা, ধৈর্য্য ও প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে অল্প দিনেই সফলতা অর্জন করেন। জমি কিনে নিজস্ব বাসা তৈরী করেছেন। বর্তমানে ব্যবসায় কমপক্ষে ২৫ লাখ টাকার পুঁজি (বিক্রয়যোগ্য মালামাল) রয়েছে। একটি প্রাইভেট স্কুলের পরিচালক হয়েছেন। ছেলে-মেয়েদের ভালভাবে লেখাপড়া করাতে পারছেন। ভবিষ্যতে বড়লেখায় একটি গার্মেন্টস তৈরীর স্বপ্ন দেখছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews