তিনশ একর জমির বোরো ধান পানির নিচে কুইয়াছড়া নদী খননের দাবি তিনশ একর জমির বোরো ধান পানির নিচে কুইয়াছড়া নদী খননের দাবি – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৩ জনকে জরিমানা জুড়ীতে গাড়ি থামিয়ে বড়লেখার এক প্রবাসি ব্যবসায়িকে মারধর, টাকা লুট : থানায় মামলা কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করেপাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ : বনবিভাগ- খাসিয়াদের মধ্যে উত্তেজনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪: কমলগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা কুড়িগ্রামে আপন চাচির বটির কোপে ২ বছরের শিশুর মাথা বিচ্ছিন্ন কুলাউড়ায় মোঃ আব্দুল মতিন স্যার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত কুলাউড়ায় ২ টি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা মে দিবসে বড়লেখায় শ্রমজীবীদের মাঝে নিসচা’র পানি ও স্যালাইন বিতরণ বড়লেখায় ঝড়ে উড়ে গেছে পৌরভবনের চাল-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুতহীন বড়লেখায় ব্যবসায়ির ভূমির গাছ চুরি-চার আসামির ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা

তিনশ একর জমির বোরো ধান পানির নিচে কুইয়াছড়া নদী খননের দাবি

  • বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩

জুড়ী প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে গৌরাঙ্গ বিল ও খাই বিলে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় এক রাতের বৃষ্টিতে প্রায় তিনশ একর জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা স্থানীয় কুইয়া ছড়া নদী খননের দাবি জানান।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক বশির উদ্দিন, আতিকুর রহমান, দুলাল মিয়া, জয়নাল আবদীন, বাবুল মিয়া, আব্দুস ছালাম, ফরিজ আলী, মামুনুর রশীদ, ধলু মিয়া প্রমুখ বলেন- জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের বাছিরপুর, কৃষ্ণনগর, হরিরামপুর, গৌরাঙ্গ ও ধামাই এলাকায় গৌরাঙ্গ বিল ও খাই বিল অবস্থিত। এখানকার বৃষ্টির পানি কুইয়া ছড়া নদী দিয়ে নিষ্কাশন হয়ে হাওরের দিকে প্রবাহিত হয়। উক্ত কুইয়া ছড়া নদী দিয়ে গৌরাঙ্গ বিল ছাড়াও ধলছড়ি, রাঙ্গাউটি ছড়া ও আইনজুড়ী ছড়ার পানি প্রবাহিত হয়। কিন্তু কুইয়া ছড়ায় ধলছড়ি সংযোগ স্থলের নিচের দিক ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি ভাটির দিকে না গিয়ে উজানের দিকে প্রবাহিত হয়। এতে করে গৌরাঙ্গ বিল এলাকায় বিশাল জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যে কারণে সোমবার ভোর রাতে প্রচন্ড বৃষ্টিতে এখানে ৩/৪শত একর জমির বোরো ধানের মধ্যে প্রায় তিনশ একরের ধান পানিতে তলিয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আতিকুর রহমান বলেন- আমার মত বহু কৃষক ঋন করে বিনিয়োগ করে ফসল ফলিয়েছেন। দেরীতে হলেও মওসুমের প্রথম দিকের বৃষ্টিতে ভালো ধান হয়েছিল। কিন্তু এক রাতের বৃষ্টিতে আমাদের সব স্বপ্ন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। শত শত কৃষকের মাথায় হাত। এখন ঋনের বোঝা বইতে হবে।

স্মরণরায় নালা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সম্পাদক বশির উদ্দিন বলেন- কুইয়া ছড়া ভরাট হয়ে যাওয়া জলাবদ্ধতার কারণ। কুইয়া ছড়া সেতুর নিকট থেকে ফানাই মুখ পর্যন্ত নদী খনন এবং ধামাই রতœা ছড়া (রাতুয়া ছড়া) থেকে কদারাম ছড়ার সাথে খনন করে সংযোগ স্থাপন করে দিলে এ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হবে।

ইউপি সদস্য জয়নাল আবদীন বলেন- জলাবদ্ধতার কারণে বিশাল এলাকার ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এখানকার শত শত কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

জানতে চাইলে পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনফর আলী বলেন- এখানকার জলাবদ্ধতা দুর করতে হলে কুইয়া ছড়ায় আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার নদী খনন করতে হবে। এ জন্য প্রায় চার মাস আগে আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রস্তাব পাঠিয়েছি।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews