কুলাউড়ায় সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানোর অভিযোগে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কুলাউড়ায় সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানোর অভিযোগে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় পৈশাচিক পল্টন হত্যা দিবস স্মরণে জামায়াতের আলোচনা সভা বড়লেখার কামড়িখাল জলমহাল ইজারার দূরত্ব যাচাই প্রতিবেদন-অভিযুক্তদের দিয়ে পুনঃতদন্ত! সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ আটক জুড়ীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল বড়লেখায় ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলা : দ্রুত আসামি গ্রেফতার দাবিতে স্মারকলিপি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ- হাকালুকির রনচি বিলে অভিযান : ৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ বড়লেখায় ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি গ্রেফতার কুড়িগ্রামে প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের আয়বর্ধক কাজের জন্য ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  কমলগঞ্জে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কুলাউড়ায় কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

কুলাউড়ায় সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানোর অভিযোগে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

  • শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০২৪

বিজ্ঞপ্তী:: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর গ্রামে মসজিদ ও মাদরাসার ওয়াকফকৃত প্রায় ৩ একর ৭৭ শতাংশ সম্পতি অবৈধ দখলের পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেন মনসুর মোহাম্মদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা ও পশ্চিম মনসুর জামে মসজিদের কমিটির সদস্যরা, ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) মিথ্যা তথ্য দিয়ে আকদ্দছ আলী তার বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করে এলাকা ও কমিটির বিরুদ্ধে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছেন বলে দাবী তাদের এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন এলাকাবাসীও ।

তারা জানান, সংবাদ সম্মেলনে তিনি কয়েক জায়গায় স্বার্থনেশি বা লোভী মহল উল্লেখ করা হলেও কারো বিরুদ্ধে কোন সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরতে পারেন নি ।

আবার মসজিদ মাদরাসার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই বলে উল্লেখ করা হলেও পক্ষান্তরে মসজিদ মাদরাসার কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়। সাংবাদিকদের পর্যাপ্ত প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া হয়নি ।

মসজিদ ও মাদ্রাসার কমিটির কয়েকজন সদস্য তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বলেছেন, মিথ্যা তথ্যে ভরপুর এই সংবাদ সম্মেলনে জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাইদের বিব্রত করেছে ভূমি অবৈধ দখলদার আখদ্দছ আলী । সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি । এই লিখিত বক্তব্য পর্যালোচনা করলেই যে কেউ সহজেই বুঝতে পারবে এটা মিথ্যা বানোয়াট ।

সংবাদ সম্মেলনে সরকারের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অভিযোগ দিয়েছেন, তারা বলেছে মক্তব সরকার বন্ধ করে দিয়েছে ? কোন সরকার আজ পযর্ন্ত কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নি। এই মক্তব এখন সরকারী মাদরাসায় রূপান্তরিত হয়েছে। সেই মাদরাসা গভর্নিং বডি দ্বারা পরিচালিত, বডির সভাপতি এডিসি (অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক) ।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেছে, ১৯৯৫ সাল থেকে থানায় যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসেন, তাহার কাছে মামলা দিয়ে হয়নারী করা হয় তাদের। অথচ তাদের বিরুদ্ধে এখন পযর্ন্ত কোন ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন নি মসজিদ/মাদরাসা কমিটি কোন সদস্য । তারা সুনিদিষ্ট কারো নাম উল্লেখ করে নি ।

সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তারা আরো বলেছে, মসজিদ/মাদরাসা কমিটি লোকেরা সহকারী পুলিশ সুপারের কাছে মোছলেকা দিয়েছে । যেটা মিথ্যা বানোয়াট। আরেকটা জায়গা বলেছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট মোছলেকা দিয়েছে মসজিদ/মাদরাসা কমিটি লোকেরা এটাও মিথ্যা তথ্য।

এছাড়া তারা বলেছে, মাদরাসা কমিটির সভাপতি সাথির মিয়া অথচ মাদরাসার গভনিং বডি সভাপতি এডিসি (অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক) ।

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে তার বাড়ী জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নে স্বীকার করেছে । সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেছে, তাদের বাড়ী মসজিদ মাদরাসা ভূমি থেকে ১ কিমি দক্ষিন পূর্বে । অথচ যে ভূমি বা বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন হলো সেই বাড়ীটা অবৈধ দখল করে আছে তারা । সেই ভূমির অবস্থান হলো মসজিদ মাদরাসা ভুমি থেকে অনুমান মাত্র ৫শ গজ পশ্চিম উত্তরে । এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে তার বাড়ী জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নে স্বীকার করেছে । প্রকৃতপক্ষে সত্য হলো তাদের মৌরসী ভূমি হলো জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নে এবং পশ্চিম মনসুর জামে মসজিদ মাদরাসার ভূমি থেকে ১ কিমি দক্ষিন পূর্বে । যাহা মনসুর আব্দুল হান্নান সরকারী প্রা : বিদ্যালয় থেকে আরো কিছু দক্ষিন পূর্বে । সেখানেই তাদের মৌরসী ভূমি।

এছাড়াও গত ২৪/০৪/২০২৪ ইং তারিখ আখদ্দছ আলী ওয়াকফকৃত সম্পতির মোতওয়াল্লী দাবী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৮৪/২০২৪ । সেখানে তিনি উল্লেখ করছে ১৯৪৬ সালে কটু মিয়া, মজর উদ্দিন, আবজা বিবি এই তিন জন তাদের ইহকালীন ও পরকালীন কল্যান মুক্তির জন্য ওয়াকফ বরাবরে ওয়াকফ সম্পতি হিসাবে হস্তান্তর করেন । সেখানে নিজেকে মোতায়াল্লী দাবি করেছেন ? আজ সংবাদ সম্মেলনে মৌরশী স্বত দাবী করছেন কিভাবে ?

মসজিদ / মাদ্রাসা কমিটির সদস্যরা আরো বলেন, মূল দলিরের সূত্র মতে ২৬/১০/১৯৪৬ সালে কটু মিয়া, মজর উদ্দিন ও আবেজা বিবি এই তিন জন প্রায় ৩ একর ৭৭ শতাংশ ভূমি মসজিদ ও মক্তবের নামে ওয়াকফে লিল্লাহ করে যান। দলিলে উল্লেখ করা হয়, এই দলিল পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন ও সংযোজন করা যাবে না। এই সম্পতির মালিকানা কখনো কেউ দাবী করতে পারবে না। তাহলে কিভাবে সংবাদ সম্মেলনে মৌরশী স্বত্ত্ব দাবী করলো তারা ?

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews