আব্দুর রব, বড়লেখা ::
হাকালুকি হাওরের মালাম বিলের কান্দির সরকারী ভুমির ব্যাপক জলজ বৃক্ষ নিধনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন। শনিবার দুপুরে মালাম বিলের ইজারাদার কর্তৃক অবৈধভাবে নির্মিত বাঁধ ও নির্বিচারে হিজল, করচ ও বরুণ গাছ কেটে ফেলা স্থান তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেন। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা, থানার ওসি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস, বর্ণি ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সাহাব উদ্দিন ও ইসিএ ব্যবস্থাপনা বহুমূখি সমবায় সমিতির সভাপতি/সম্পাদক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন হাকালুকি হাওরের মালাম বিলের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের খাসজমির হিজল-খরচ-বরুণসহ নানা প্রজাতির কয়েক হাজার জলজ গাছ কেটে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে জলমহালের লোকজন। এঘটনায় গত ২১ জুন পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জলজ বৃক্ষ নিধনে সম্পৃক্ত ৭ ব্যক্তির নাম উল্লেখ ও আরো ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালায় বড়লেখা থানায় মামলা করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন সাংবাদিকদের জানান, হাওরের জলজ বৃক্ষ কেটে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাননীয় পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপির নির্দেশে তিনি ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন, বাস্তব অবস্থা কি, পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে কি উদ্যোগ নিতে হবে তা পর্যবেক্ষণ করতে সরেজমিনে এসেছেন। ঘটনাকারীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে থানায় মামলা হয়েছে। এজাহার নামীয় আসামী ছাড়াও তদন্তে যার বিরুদ্ধে গাছ কাটায় সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইজারাশর্ত ভঙ্গের কারণে মালাম বিলের ইজারা বাতিলসহ ইজারাদারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।#
Leave a Reply