বড়লেখায় স্বেচ্ছাশ্রমে সোনাই নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে হবে- ইউএনও মহিউদ্দিন বড়লেখায় প্রধান শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার বড়লেখায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান অফিসের আসবাবপত্র উদাও! হাকালুকি হাওর সুরক্ষা আদেশ বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা- বিধি-নিষিধ কার্যকরে অংশীজনদের সম্মতি কমলগঞ্জে নানা আয়োজনে প্রতিবন্ধী দিবস পালিত কুলাউড়ায় ১১ দিনের কর্মবিরতিতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীরা! কুলাউড়ার দওগ্রাম সীমান্ত এলাকা থেকে ৩ লক্ষাধিক ভারতীয়  সিগারেট আটক সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে ডাকাতি: মালামালসহ গ্রেপ্তার ৩ কমলগঞ্জে নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে পরিবারকল্যাণ কর্মীদের দশ দিনের কর্মবিরতি

বড়লেখায় স্বেচ্ছাশ্রমে সোনাই নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত

  • শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১

Manual8 Ad Code

ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী এলাকাবাসীর

Manual6 Ad Code

আব্দুর রব, বড়লেখা ::

Manual2 Ad Code

বড়লেখায় সোনাই নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের বোয়ালী-বিহাইডর রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। তারা গত ৫ দিন ধরে রাস্তাটির ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৬০ ফুট গভীর স্থানের মেরামত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে স্বেচ্ছাশ্রমের মেরামত কাজ কতটুকু স্থায়ী হবে তা নিয়ে এলাকাবাসী শংকিত। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মাধ্যমে নদী শাসন করে কাজ না করলে মেরামত করা রাস্তাটি ঢেউয়ের তোড়ে আবারও নদীগর্ভে বিলীনের আশংকা রয়েছে।

Manual3 Ad Code

জানা গেছে, বড়লেখা এলজিইডির আওতাধীন বোয়ালী-বিহাইডর-ভট্টশ্রী রাস্তাটি ২ দশমিক ৬৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ। সোনাই নদীর পূর্বপাড় ঘেঁষে যাওয়া রাস্তাটি উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভেতর দিয়ে গেছে। এই রাস্তা দিয়ে বোয়ালী, বিহাইডর, ভবানীপুর, ভট্টশ্রী, উজানিপাড়া, সারোপারসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ চলাচল করেন। প্রায় ৪ বছর ধরে নদীর ভাঙনে বোয়ালী এলাকায় রাস্তাটি একটুআধটু করে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। বর্তমানে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এক বছর আগে রাস্তাটিতে ১ কিলোমিটার পাকাকরণ কাজ শুরু হয়। স্থানীয় উদ্যোগে ভাঙা অংশ মেরামত করার পর পাকার কাজ সম্পন্ন হয়। তবে পাকা রাস্তাটি বেশিদিন টেকেনি। প্রায় ৬০ ফুট রাস্তা ফের নদীতে ধসে পড়ে। এতে এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম দুর্ভোগে পড়েন এলাকার মানুষজন। স্থানীয়রা গাছের গোড়া ফেলে ও বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কোনোরকম হেঁটে এপার-ওপার করেছেন। কিন্তু জরুরী প্রয়োজনে কিংবা অসুস্থ মানুষকে আনা-নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এরইমধ্যে গত এক মাস ধরে কাছাকাছি আরও একটি অংশে নতুন করে প্রায় ৬০-৭০ ফুট জায়গায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এঅবস্থায় চলাচলের দুর্ভোগ কমাতে এলাকাবাসী সরকারি উদ্যোগের অপেক্ষায় না থেকে ভাঙা রাস্তাটির মেরামত কাজ শুরু করেছেন। তাদের এই উদ্যোগের সাথে শামিল হয়েছেন বিভিন্ন দেশে থাকা এলাকার প্রবাসী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। গত রোববার (২৫ জুলাই) থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৬০ ফুট রাস্তার মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তার পাশে নদীভাঙন অংশে গাছ ও বাঁশের আড়া দিয়ে মেরামতের কাজ চলছে। ভাঙন রোধের কাজ শেষ হলে সেখানে ইট ফেলে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করা হবে। তবে এতে রাস্তা কতটুকু স্থায়ী হবে তা নিয়ে এলাকাবাসী আশংকা রয়েছেন।

সরেজমিনে গেলে এলাকার বাসিন্দা কয়ছর আহমদ আহমদ বলেন, ‘রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধ। হাসপাতালে রোগী নিতে কষ্ট হয়। কেউ মারা গেলে মসজিদে জানাজার জন্য লাশ নিতে হয়। কিন্তু ভাঙা থাকায় কষ্ট করে লাশ নিতে হয়।’

রাস্তা মেরামত কাজ সমন্বয় করছেন এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক তোয়াহিদুর রহমান টিপু। তিনি বলেন, ‘রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাঙনে মানুষ কষ্ট করছেন। এখন দুর্ভোগ কমাতে আমাদের মন্ত্রী, ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রবাসীদের সহযোগিতায় এলাকার সবাই মিলে রাস্তাটিতে ছোট গাড়ি চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। ৫ দিন থেকে কাজ চলছে। আরো কয়েকদিন লাগবে। কতটুকু টিকবে বলা যাচ্ছে না। এলাকায় বর্তমান সরকারের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এই ভাঙন উন্নয়নকে ম্লান করে দিচ্ছে। দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন বলেন, ‘ভাঙন রোধে এলাকাবাসী উদ্যোগে নিয়েছেন। পরিবেশমন্ত্রী, এলাকাবার প্রবাসীরা এবং আমি নিজেও টাকা দিয়েছি। কোনোমতে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এটাও টিকবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মাধ্যমে নদী শাসন করে কাজ না করলে রাস্তা আবারও ভাঙবে।’

উপজেলা প্রকৌশলী মো. সামসুল হক ভূঞা বলেন, ‘রাস্তাটির পাশ দিয়ে একটি নদী প্রবাহিত হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে বাঁকে (নদীর) অতিরিক্ত ঘূর্ণনের সৃষ্টি হয়। ঘূর্ণনের ফলে রাস্তার নিচের মাটি সরে গিয়ে রাস্তা ভেঙে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশেষজ্ঞ টিমদ্বারা পরামর্শক্রমে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাঁধ নির্মাণ না করা হলে এই রাস্তা রক্ষা করা সম্ভব নয়।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার কার্যালয়ের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী বলেন, ‘নদী ভাঙনে রাস্তাটির দুটি জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্প্রতি জেনেছি। সরেজমিনে ভাঙনস্থলগুলি পরিদর্শন করে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।’

Manual8 Ad Code

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!