বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখার হাকালুকি হাওরের একটি জলমহালের ইজারা সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও তথ্যগোপনের অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে পুনঃতদন্তের দাবীতে ভুক্তভোগী দূর্গাই মৎস্যজীবি সমিতির সম্পাদক সাফির আহমদ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। প্রতিকার না পেলে তিনি উর্ধ্ব আদালতের শরনাপন্ন হবেন বলে জানিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, হাকালুকি হাওরের গগড়া মৌজার অনুর্ধ ২০ একর আয়তন বিশিষ্ট বেলায়েত কুড়ি কটাইবান্দ বদ্ধ জলমহালটি ১৪২৮-৩০ বাংলা সনের জন্য ইজারা নিতে তিনটি মৎস্যজীবি সমিতি আবেদন করে। ইজারা আইন অনুযায়ী জলমহালের নিকটবর্তী মৎস্যজীবি সমিতিকে ইজারা প্রদানের নিয়ম রয়েছে। উক্ত জলমহালটির ইজারা নিতে দূর্গাই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি, খুটাউরা ভাইভাই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ও গগড়া উত্তর-দক্ষিণ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি আবেদন করে। সহকারী কমিশনার (ভুমি)’র নির্দেশে সার্ভেয়ার ফিরোজ আলম গত ৫ জুন সরেজমিনে জলমহালের অবস্থান তদন্ত করেন। কিন্ত তিনি প্রভাবিত হয়ে জলমহাল হতে নিকটবর্তী দূর্গাই মৎস্যজীবি সমিতিকে দুরবর্তী এবং দুরবর্তী ভাইভাই মৎস্যজীবি সমিতিকে নিকটবর্তী দেখিয়ে প্রতিবেদন জমা দেন। এতে প্রকৃত নিকটবর্তী সমিতি জলমহাল ইজারা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
দূর্গাই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সম্পাদক সাফির আহমদ জানান, তথ্য গোপন করে সার্ভেয়ারের তৈরী ভুয়া প্রতিবেদন বাতিল করে পুনঃতদন্তের ব্যবস্থা নিতে তিনি জেলা প্রশাসক ও ইউএনও বরাবরে আবেদন করেছেন। প্রতিকার না পেলে তিনি উর্ধ্ব আদালতের শরনাপন্ন হবেন।#
উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার ফিরোজ আলম কোনো সমিতি কর্তৃক প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি সরেজমিনে মাপযোগ করে সঠিক প্রতিবেদনই জমা দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ চাইলে পুনঃতদন্ত দিতে পারেন।
Leave a Reply