রক্ষকরাই ভক্ষকের ভুমিকায়
বড়লেখা প্রতিনিধি ::
হাকালুকি হাওরের অভায়াশ্রম জলমহালগুলোতে চলছে মাছ লুটপাট। অভিযোগ রয়েছে সরকারি জলমহালগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা গ্রাম সংরক্ষণ (ভিসিজি) সমিতির নেতারাই প্রভাবশালীদের নিকট বিলগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। শনিবার বিকেলে মৎস্য ও ভুমি কর্মকর্তারা রনছি বিল থেকে একটি সেচযন্ত্র ও মাছ ধরার ব্যাপক সরঞ্জাম জব্দ করেছে।
জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর দেশের সর্ববৃহৎ হাকালুকি হাওরের ২২৫ একর আয়তনের মাছের অভয়াশ্রম ঘোষিত রনছি বিলটি রক্ষণাবেক্ষনের জন্য ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়ার একটি গ্রাম সংরক্ষণ (ভিসিজি) সমিতির ওপর ন্যাস্ত করে। এই সমিতির সভাপতি মছব্বির আলী ওরফে জগলু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ছানু মিয়া, সদস্য নাজমুল ইসলাম, রুবেল আহমদ প্রমুখ স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল জলিল, আনিছ মিয়া, বড়লেখার খুঁটাউরার আব্দুল মনাফ, হদিস মিয়ার নিকট মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন।
এসব প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন ধরে রনছি বিলে সেচ মেশিন বসিয়ে পানি কমিয়ে লাখ লাখ টাকার মাছ লুট করতে থাকে। এরা গত এক-দেড় মাসে সরকারি অভয়াশ্রম ঘোষিত রনছি বিল থেকে অন্তত ২০ লাখ টাকা মাছ লুট করেছে।
সরকারি এ জলমহালের মাছ লুটের খবর পেয়ে শনিবার বড়লেখা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান, হাকালুকি ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মতিউর রহমানের নেতৃত্বে রনছি বিল অভয়াশ্রমে অভিযান চালানো হয়। এসময় কর্তকর্তারা বিলের পানি সেচে নিয়োজিত সাড়ে ৮ ঘোড়া ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সেচযন্ত্র, মেশিনের পাইপ, মাছ রাখার ব্যাপক ক্যারট ও জাল জব্দ করেছেন। কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ লুটেরা বাহিনী পালিয়ে যায়।
বড়লেখা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, এ অভয়াশ্রম বিলটি রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে রয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জের একটি গ্রাম সংরক্ষণ (ভিসিজি) সমিতি। এ বিলে ফিসিং নিষিদ্ধ স্বত্ত্বেও সমিতির নেতৃবৃন্দের ছত্রছায়ায় মাছ লুটের অভিযোগ পেয়ে ভুমি কর্মকর্তাদের নিয়ে অভিযান চালান। এসময় সেচ মেশিনসহ মাছ ধরার ব্যাপক সরঞ্জামাদি জব্দ করেন। এব্যাপারে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।#
Leave a Reply