এইবেলা ডেস্ক::
বড়লেখার সুজানগরের বড়থলের বড়জালাই (বদ্ধ) জলমহাল সেচে নিয়োজিত ৩টি সেচযন্ত্র জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্ট ইজারাদার মৎস্যজীবি সমিতি বিল শুকিয়ে মাছ ধরতে গত কয়েক দিন ধরে অবৈধভাবে সেচযন্ত্রে বিলের পানি সেচ করছিল। শুক্রবার বিকেলে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসানের নেতৃত্বে প্রশাসনের লোকজন অভিযান চালিয়ে বিলের পাড়ে পানি সেচকাজে নিয়োজিত তিনটি সেচ মেশিন জব্দ করেছেন। এব্যাপারে ইজারাদার সমিতির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, উপজেলার বড়থল গ্রামের প্রায় ৩ হাজার বাসিন্দার দৈনন্দিন কাজের পানির উৎস হচ্ছে ২০ একর আয়তনের বড়জালাই (বদ্ধ) জলমহাল। সরকারি এ জলমহালটি গ্রামবাংলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ইজারা নিয়েছে। শুকিয়ে মাছ ধরার নিয়ম না থাকলেও ইজারাদার সমিতি গত কয়েকদিন ধরে পানি সেচের মেশিন বসিয়ে বিলের পানি সেচ করতে থাকে। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরায় একদিকে মাছের বংশ বিলুপ্তির আশংকা অন্যদিকে গ্রামের লোকজন পানির জন্য মারাত্মক দুর্ভোগে পড়বেন। জলাশয়টি শুকিয়ে ফেললে গ্রামের অগভীর নলকুপগুলোও পানিশূন্য হয়ে পড়ার আশংকায় ছিল।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, জলমহাল সেচযন্ত্রে পানি সেচ দেয়ার নিয়ম নেই, এটি সম্পুর্ণ অবৈধ। আগেও একবার সরেজমিনে গিয়ে তিনি সেচপাম্প বন্ধ করেন। ইজারাদার সমিতিকে সেচ মেশিন সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিলেও তারা তা অমান্য করে বিল শুকাতে তৎপর থাকে। শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে তিনি বিলের পাড় থেকে তিনটি সেচ মেশিন জব্দ করেছেন। এব্যাপারে জড়িত ইজারাদার সমিতির বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply