ফলোআপ- জুড়ীর লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়নি : প্রকৌশলী বলছেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি ফলোআপ- জুড়ীর লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়নি : প্রকৌশলী বলছেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
৩ মাস থেকে ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের রেশন-বেতন বন্ধ কুলাউড়ার নবারুন আদর্শ বিদ্যাপীটের সভাপতির প্রবাস গমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” বড়লেখায় শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে শ্রমিক লীগ নেতাকে শ্রমিক দলে রাখার পায়তারা বড়লেখায় পৌর যুবদল নেতার মামলায় ২ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার বড়লেখায় শিক্ষক ও সাংবাদিক মইনুল ইসলামের ইন্তেকাল : শোক প্রকাশ নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিটার মিনিবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এফসি ডার্ক নাইট একজন মেহেদী হাসান রিফাতের গল্প : স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে

ফলোআপ- জুড়ীর লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়নি : প্রকৌশলী বলছেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি

  • মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২২

 জুড়ী প্রতিনিধি :: বনবিভাগের তিন দফা বাধার পরও মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের ভেতরে কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের কাজ এখনো বন্ধ করেনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। তবে এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আব্দুল মতিন বলেন মৌখিকভাবে ঠিকাদারকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি।

এদিকে বনবিভাগ কর্মকর্তা সোমবার বিকেলে জানান, কাজ এখনো বন্ধ করেনি ঠিকাদার। বনবিভাগ থেকে কোন অনুমোদন না নেয়ায় কাজ বন্ধ রাখতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে তিন দফা চিঠি দেয়া হয়েছে।

লাঠিটিলা বিটের বিট অফিসার মোঃ সালাহ উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, লাঠিটিলা এলাকার পুরাতন সেগুন বাগানের ভেতরে কাঁচা রাস্তা পাকা করণের জন্য এক্সেভেটর দিয়ে রাস্তা খোদাই করে বক্স করা হচ্ছে। সোমবার আমি সরেজমিন দেখে এসেছি কাজ পুরোদমে চলছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, এলজিইডি থেকে ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েই আমি কাজ শুরু করেছি। এখন সরকারের দুই বিভাগের ঠেলাঠেলিতে আমি বেকায়দায় পড়েছি। রাস্তার পুরো কাজের মালামাল প্রস্তুত রাখার পর কাজ শুরু করলে বনবিভাগ আপত্তি দেয়। এখন উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজ বন্ধ রাখতে বলেন আবার মন্ত্রী বলেন কাজ শুরু করতে। কারণ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন মহোদয়ের ডিও লেটারের ভিত্তিতে এখানে কাজ করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম চলছে এখন যদি কাজ শেষ করতে না পারি তাহলে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবো। তাছাড়া এলাকার লোকজন দূর্ভোগে পড়বেন। এক কিলোমিটার রাস্তার পুরো মাটি কাটার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

জুড়ী বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, কাজ বন্ধ রাখতে এলজিইডি প্রকৌশলীকে বনবিভাগের পক্ষ থেকে কয়েক দফা চিঠি দেয়ার পরও এখন পর্যন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। রাস্তার কাজের ব্যাপারে বনবিভাগ থেকে পূর্ব কোনো অনুমতি নেয়নি এলজিইডি। এই বনের ভেতরে রাস্তাটি পাকা হলে ওই এলাকার পুরনো সেগুনবাগান রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। কাঠ চোরাকারবারিদের তৎপরতা বেড়ে যাবে।

এ বিষয়ে এলজিইডি’র জুড়ী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, রাস্তায় মাটি কাটার কাজ শেষ হওয়ার পথে। কাজের জন্য ঠিকাদার সমস্ত মালামাল নিয়ে এসেছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে মৌখিকভাবে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। নতুন করে কোন অনুমতি নিবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুমতি তো একটা হবে। অনুমতি নিয়েই কাজে এগোতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভার সিদ্ধান্তটি অনুসরণ করেছেন কি এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যা, চিঠিটি পড়েছি। এটা ঠিক যে বন এলাকায় অনুমতি ছাড়া উন্নয়ন কাজ করা যায় না।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews