বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্যাতনকারী যৌতুকলোভী সেই স্বামী আব্দুল কাইয়ুমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক। মঙ্গলবার ভোররাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে। আব্দুল কাইয়ুম উপজেলার সুজাউল গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, সাত বছর আগে উপজেলার সুজাউল গ্রামের সৌদিআরব প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুমের সাথে বিয়ে হয় সুলতানা বেগমের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্বামী আব্দুল কাইয়ুম ও তার প্রথম স্ত্রী আছমা আক্তার হেপী সুলতানার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকেন। ইউরোপ যাওয়ার জন্য বাবার বাড়ি থেকে ৭ লাখ টাকা এনে দেয়ার দাবি জানান স্বামী আব্দুল কাইয়ুম ও প্রথম স্ত্রী আছমা আক্তার হেপী। টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শুরু হতো নির্যাতন। শনিবার যৌতুকলোভী স্বামী আব্দুল কাইয়ুম ও তার প্রথম স্ত্রী আছমা আক্তার হেপী গৃহবধূ সুলতানা বেগমের উপর অমানবিক নির্যাতন চালান। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তারা অর্ধমৃত অবস্থায় একটি ঘরে তাকে বন্দী করে রাখেন। খবর পেয়ে গৃহবধু সুলতানা বেগমের বাবা আব্দুল মালিক থানা পুলিশ নিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। সোমবার বিকেলে পুলিশ মামলা রেকর্ড করে আসামী গ্রেফতারে তৎপর হয়। মঙ্গলবার ভোরে শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মাসুক মিয়া নিজ বাড়ি থেকে আব্দুল কাইয়ুমকে গ্রেফতার করেন।
বড়লেখা থানার ওসি (তদন্ত) মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, ভিকটিম সুলতানা বেগমের নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় স্বামী আব্দুল কাইয়ুমকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
Leave a Reply