বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখায় ছুটিতে বাড়ি এসে প্রতিপক্ষের পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়েছেন কাতার প্রবাসী আতিকুর রহমান। গত ৩১ জুলাই প্রবাস গমণের টিকেট কনফার্ম থাকলেও প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শরীরে মারাত্মক জখমসহ তার একটি পা ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন তার প্রবাস গমণ অনেকটা অনিশ্চিত। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি গত ১৯ জুলাই থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। এব্যাপারে আহত প্রবাসীর ভাই প্রভাষক খালেদ হোসেন মঙ্গলবার প্রতিপক্ষের আট জনকে আসামী করে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার অজমির গ্রামের আব্দুল হান্নান, কর্ণেল আহমদ, আব্দুল হান্নান (২), কামরুল ইসলাম, চান্দ আলী, আব্দুল কুদ্দুছ, শিপন আহমদ গংরা বসত বাড়িতে যাতায়াতের জন্য একই গ্রামের হারিছ আলীর ভুমি ব্যবহার করছেন। গত ১৯ জুলাই হারিছ আলী রাস্তার পাশে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এতে আব্দুল হান্নান গংরা বাধা দেন। এসময় হারিছ আলীর প্রবাস ফেরৎ ছেলে আতিকুর রহমান তাদের আপত্তির কারণ জানতে চাইলে সঙ্গবদ্ধভাবে তারা আতিকুর রহমানের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত কাতার প্রবাসীর ভাই সুজানগর পাথারিয়া কলেজেরে প্রভাষক খালেদ হোসেন জানান, আমাদের দেয়া জায়গার ওপর দিয়ে উনারা যাতায়াত করছেন। ওই রাস্তার সীমানাও সুষ্পষ্ট। রাস্তার পার্শে দীর্ঘদিন ধরে পিলার দিয়ে আমাদের জায়গার সীমানা নির্ধারিত রয়েছে। ওই জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করলে তারা বাধা দেয়। কারণ জানতে চাওয়ায় তারা আমার প্রবাসী ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা করে। গত ৩১ জুলাই বিদেশ যাওয়ার আমার ভাইয়ের টিকেট কনফার্ম ছিল। কিন্তু তারা হামলা চালিয়ে একটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে। গুরুতর আহত করায় আমার ভাইয়ের বিদেশ যাওয়া অনিশ্চিত করেছে। শুধু হামলা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। আমাদের সীমানা ভেঙ্গে ফেলে, ব্যাপক গাছ কেটে ও নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে গেছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইকরাম হোসেন জানান, প্রভাষক খালেদ আহমদের দায়েরকৃত মামলাটি এফআইআর করার জন্য আদালত বড়লেখা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply