প্রতিহিংসায় ডাকাতি মামলায় কারাভোগের অভিযোগ
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: পালিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত আসামিকে পুলিশ সদস্যদের দেখিয়ে দেয়ায় প্রতিহিংসার জেরে উল্টো নিরীহ ও অসুস্থ ব্যক্তিকে আসামী করে ডাকাতি মামলায় কারাভোগ করার অভিযোগ উঠেছে। কুলাউড়া থানার একটি ডাকাতি মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী সালাহ উদ্দিন এর ষড়যন্ত্রমূলক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের বৈদ্যনাথপুর গ্রামের অসুস্থ তালেব আলীকে মামলায় আসামীভূক্ত করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানিয়েছে।
জানা যায়, ২০২১ সনের ১৬ জুলাই কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের আশ্রয়গ্রামের বাসিন্দা মো. ইকরাম আলী খান এর বসতঘরে ডাকাতি সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় পরদিন ১৭ জুলাই অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জনকে আসামী করে কুলাউড়া থানায় মামলা করেন। এ মামলার প্রধান আসামী করা হয় একই উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের বিলেরপার গ্রামের আলোচিত সালাহ উদ্দীন কে। পুলিশ সালাহ উদ্দীনকে গ্রেফতার করতে আসলে পালিয়ে আত্মগোপন করে। এসময় বৈদ্যনাথপুর গ্রামের তালেব আলী পুলিশকে সালাহ উদ্দীনের লুকিয়ে থাকার তথ্য প্রদান করেন। পরে পুলিশ সালাহ উদ্দীনকে গ্রেফতার করে।
গ্রামবাসীরা জানান, পুলিশ ডাকাতি মামলায় গ্রেফতারের পর সালাহ উদ্দীন তালেব আলীকে দায়ী করে এবং একদিনের জন্য হলেও তালেব আলীকে জেল খাটানোর হুমকি প্রদান করে। সালাহউদ্দীন তার জবানবন্দী প্রদানকালে তালেব আলীর নাম বলে। পরে পুলিশ ওই মামলায় ৮ নম্বর আসামী হিসাবে তালেব আলীকে আসামী করে এবং গত বুধবার দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে তাকে অসুস্থ অবস্থায় গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
এঘটনার প্রতিবাদে রোববার সকালে তালেব আলীর বৈদ্যনাথপুর গ্রামের বাড়িতে গ্রামের লোকজন প্রতিবাদ সভা করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন রহমত আলী, জমির আলী, নিজাম উদ্দীন, আব্দুল মালিক, সাব উদ্দীন, ওয়াদ উল্লাহ, মাসুক মিয়া, আরজদ আলী, আব্দুল হান্নান, মোহাম্মদ আলী, আক্কল আলী, দুরুদ আলী, তজমুল আলী, বশির মিয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, পতনঊষার ইউনিয়নের বৈদ্যনাথপুর গ্রামের তাহির আলীর ছেলে তালেব আলী (৩৬) একজন নিরীহ ব্যক্তি। সে আনারস চাষাবাদসহ বিভিন্ন ধরণের কৃষি ব্যবসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে। বর্তমানে তার কিডনীতে সমস্যাজনিত কারণে অস্ত্রোপচারও করা হয়। এরই মধ্যে ডাকাতি মামলার প্রধান আসামী সালাহ উদ্দীনকে পুলিশ ধরার জন্য চেষ্টা চালালে তালেব আলী তাতে সহায়তা করে। যে কারণে সালাহ উদ্দীন উদ্দেশ্যমূলকভাবে তালেব আলীর নাম বলে মামলায় তাকে আসামী করা হয় এবং গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। তারা নিরীহ ও অসুস্থ তালেব আলীকে যড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় সম্পৃক্ত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করে অতিসত্বর নি:শর্ত মুক্তি প্রদানের দাবি জানান।
কুলাউড়া থানার ওসি মো. আব্দুছ ছালেক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply