মহামারিকাল চলছে ধরায়, সঙ্গী হলো শ্রাবণ ;
দিনে দিনে সঙ্কট বাড়াচ্ছে, এ সময়ের প্লাবন।
প্রাণীকূলে কষ্ট বাড়াচ্ছে, মহামারিকালে প্লাবন;
দুঃসহ জীবনে ছিটাচ্ছে যেন কাটা ঘায়ে লবণ।
ঘন কালোমেঘে ঢেকে বহে প্রচন্ড ঝড়-হাওয়া;
উজান থেকে নামা ঢলে বেড়েছে কষ্ট পাওয়া।
তলিয়ে গিয়ে ফসলী জমি, শূণ্য ফসলের মাঠ;
বসতভিটা ডুবে গেছে বানে, রিক্ত জীবনপাঠ।
অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান হারিয়ে, মানুষ এখন বিপাকে;
বুভুক্ষু সব প্রাণিকূল ধরায়, হণ্যে হয়ে ঘুরপাকে।
চারিদিকের বাতাস পূর্ণ যখন ভয়ঙ্কর অণুজীবে;
মহামারিকালে শ্রাবণী প্লাবন আতঙ্ক বাড়ায় ভবে।
বাঁচিবার আশে, থাকিতে নিরাপদ, গৃহবন্দী মানুষ;
বন্যা এসে ডুবালো সে আবাস, মানুষের নেই হুঁশ।
কী খাবে? কোথায় ঘুমাবে? কী হবে ভব-জীবন?
খুঁজে ফিরে সবে বাঁচার তরে একটু বিশুদ্ধ পবন!
ভেসেছে বানে, ভেঙেছে নদে, হয়তো শেষ সম্বল;
অসহায় প্রাণ, রিক্তহস্তে ঘুরে, করতে জান সচল।
ভূমি উপচে জল, বায়ূভর্তি অনুজীব, সর্বত্র ঝুঁকি;
কষ্টের কাহনে জীবনচাকা, কেমনে ছবি আঁকি?
মানবিক বিপর্যয়ের মহামারিকালে শ্রাবণের বান;
হাতে হাত ধরে, বেঁচে ফিরে আসুক, সাম্যের গান!
এমন খরাকাল, করে সবে পার, খুঁজে পাবে স্বস্তি;
আবার ধরনীতে বইবে শান্তি, হবে না জবরদস্তি।
দূর্দশার মহামারি কিংবা শ্রাবণের এমন প্লাবন;
কস্মিনকালে দিওনা প্রভূ, ভেবো মোদের আপন।
Leave a Reply