কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: বিগত ৬০৪ দিনের দৈনিক ৫০ টাকা হিসেবে ৩০ হাজার ২০০ টাকা পূর্ণ বকেয়া প্রদানের দাবি জানিয়েছে চা শ্রমিকরা। সোমবার (৬ মার্চ) সকাল ৮টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার তিনটি বাগানের চা শ্রমিকরা জড়ো হয়ে আলীনগর চা বাগান কারখানার সম্মুখে বিক্ষোভ করে পূর্ণ বকেয়া পরিশোধের দাবি জানান।
সোমবার সকাল ৮টায় আলীনগর, সুনছড়া, কামারছড়া চা বাগান শ্রমিকরা আলীনগর চা কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। আলীনগর চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি গণেশ পাত্রের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাগান পঞ্চায়েত সম্পাদক চন্দন বাকতি, সুনছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সম্পাদক প্রশান্ত কৈরী, কামারছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সম্পাদক দিলিপ কৈরী, আলীনগর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য গৌরি রানী, শ্রমিক নেতা দয়াশংকর কৈরী, সীতারাম বীন, রামবিজিত কৈরী, সুনীল মৃধা প্রমুখ।
শ্রমিক নেতারা বলেন, আমাদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের ৫০ টাকা হারে ৬০৪ দিনের বকেয়া ৩০ হাজার ২শত টাকা প্রদান করতে হবে। সরকার শ্রমিক নেতা ও মালিকপক্ষ আমাদের ন্যায্য পাওনা মাথাপিছু হারে ১৯ হাজার টাকা থেকে বঞ্চিত করছে। এটি মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়। আমাদের পূর্ণাঙ্গ বকেয়া পরিশোধ করা না হলে পরবর্তীতে আবারো বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে এবং প্রয়োজনে শ্রমিকরা আবারো আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা জানান, ২০২১ সালে জানুয়ারি হতে ২০২২ সালের আগষ্ট পর্যন্ত প্রভিডেন্ট ফান্ডেরও জনপ্রতি প্রায় ২৩০০ টাকা প্রদানের দায় থেকেও মালিকদের মুক্তি দেওয়া হয়। এভাবে মালিকদের স্বার্থরক্ষায় সরকার, মালিক ও দালাল নেতারা সমন্বিত হয়ে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখলেও ১৭০ টাকা মজুরি মেয়াদ ২০২২ সালে উত্তীর্ণ হয়েছে। বর্তমানে ২ মাস অতিক্রান্ত হলেও কবে নতুন মজুরি কার্যকর হবে সে ব্যাপারে কেউ ‘টু’ শব্দটি করছে না।
এব্যাপারে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালেন্দি বলেন, ঢাকায় সমঝোতা বৈঠকে আমরা ছিলাম না। শ্রম প্রতিমন্ত্রী আমাদের ডেকে নিয়ে জানতে চাইলে আমরা বকেয়া ৫০ টাকা হিসাবে শ্রমিকদের ৩০ হাজার ২শ’ টাকা প্রদানের দাবি জানিয়েছি। তিনি আরো বলেন, ১৭০ টাকা মজুরিও সরকার নির্ধারণ করেছে। #
Leave a Reply