বড়লেখা প্রতিনিধি :
বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার আদর্শ কলেজের দুই ছাত্রের বিরোধের জেরে এক ছাত্রের এলাকার লোকজন রবিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রায় দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করেছে। এতে চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে চান্দগ্রামের বাসিন্দা ব্রিটিশ নাগরিক শরীফুল ইসলাম ভিডিও ধারণ করায় বারইগ্রামের জনৈক ব্যক্তি তাকে ছুরিকাঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এঘটনায় বড়লেখা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্তবর্র্তী সুনাই নদীর ব্রীজ এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়ে। খবর পেয়ে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসিল্যান্ড জাহাঙ্গীর হোসাইন, থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান ও বিয়ানীবাজার থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
জানা গেছে, বড়লেখার দাসেরবাজার আদর্শ কলেজে বড়লেখা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করে। বড়লেখার এক ছাত্রের সাথে বিয়ানীবাজারের এক ছাত্রের পূর্ব-বিরোধ চলছিল। বড়লেখার কলেজ ছাত্রের বোন বিয়ানীবাজারে এবারের এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। রবিরার দুপুরে পরীক্ষা শেষে বড়লেখার কলেজ ছাত্র তার বোনকে আনতে যায়। বিয়ানীবাজার এলাকায় তাকে একা পেয়ে বিয়ানীবাজারের কলেজ ছাত্র তাকে আটকিয়ে মারধর করে। এর জের ধরে বিয়ানীবাজারের বারইগ্রাম ও বড়লেখার চান্দগ্রাম এলাকার ছাত্র-জনতার মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিয়ানীবাজারের বারইগ্রামের উত্তেজিত ছাত্র-জনতা সড়কের সোনাই নদীর ব্রীজের ওপর সড়ক অবরোধ করে। অপরদিকে বড়লেখার চান্দগ্রামের ছাত্র-জনতাও সেখানে অবস্থান নেওয়ায় উত্তজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় চান্দগ্রামের বাসিন্দা ব্রিটিশ নাগরিক (লন্ডন প্রবাসী) শরিফুল ইসলাম জনদুর্ভোগের ভিডিও চিত্র ধারণ করতে থাকলে বারইগ্রামের জনৈক ব্যক্তি তার বুকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর বারইগ্রাম ও চান্দগ্রামের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। দুইপক্ষ সড়কে অবস্থানের কারণে প্রায় দুইঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনজিত কুমার চন্দ জানান, উত্তেজনার খবর পেয়ে তিনি এসিল্যান্ড, থানার ওসিসহ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। দুই ছাত্রের বিরোধের জেরেই মুলত ঘটনাটি ঘটেছে। দুই উপজেলার সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেই বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply