আত্রাইয়ে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত শ্রমজীবী মানুষ আত্রাইয়ে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত শ্রমজীবী মানুষ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১২:১০ অপরাহ্ন

আত্রাইয়ে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত শ্রমজীবী মানুষ

  • শনিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: গত কয়েক দিনের কনকনে শীত ও উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় ঘরের বাইরে থাকা দায়। এদিকে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নওগাঁর আত্রাই নদীর তীরবর্তী খেটে খাওয়া দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের জনজীবন। বিশেষ করে এখন উপজেলার দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা চরম শোচনীয়।

এদিকে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ ভির করছে পুরনো কাপড়ের দোকানে। দিনের বেশির ভাগ সময়টা দেখা মিলছে না সূর্যের। গত কয়েক দিন ধরে বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বৃষ্টির মতো নামছে শীতের শিশির সেই সাথে বইছে উত্তরের ঠান্ডা হিমেল হাওয়া। আরো বাড়িয়ে তুলেছে শীতের মাত্রাকে। এ অবস্থায় হাড় কাঁপানো শীতে
কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। কাজে যোগ দিতে না পেরে উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের অনেকের নেই শীতের গরম কাপড়।  শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শ্রমজীবী নারী, শিশু ও বৃদ্ধারা।

শনিবার দিনব্যাপী সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শ্রমজীবী নারীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কাজ করেন বাড়িতে ও বিভিন্ন ফসলের মাঠে। তারা জানান, ভোরে ঘুম থেকে ওঠে নিজেই রান্না-বান্না করতে হয়। এই শীতে সাংসারিক কাজকর্ম সেরে কর্মস্থলে যেতে তাদের অনেক কষ্ট হয়।

কথা হয় আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের শ্রমজীবী নারী শরপি‘র সাথে তিনি জানান, খুব সকাল সকাল তাকে ঘুম থেকে উঠে রান্না-বান্না শেষে সন্তানদের জন্য তাকে কর্মস্থলে আসতে হয়। কয়েক দিনের শীতে তাকে কর্মস্থলে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পেটের দায়ে অনেকেই দিনমজুর হিসেবে মাটি কেটে, ইটভাটায় কাজ করে জীবিকানির্বাহ করেন। এদের মধ্যে অনেকই রয়েছে বৃদ্ধ। শীতের তীব্রতা ও গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের।

ইটভাটায় কর্মরত শরিফুল ইসলাম জানান, তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ। পেটের দায়ে বৃদ্ধ বয়সে কাজ করছেন ইটভাটায়। থাকেন ইটভাটার এক খুপড়ি ঘরে। তিনি বলেন শীতের কারণে রাতে মাঝে মাঝে মনে হয় হাত-পা ঠান্ডায় বরফ হয়ে গেছে।

উপজেলার তারাটিয়া ছোটডাঙ্গা গ্রামের সিএনজি চালক রায়হান আলী বলেন, সকাল বেলা গাড়ি নিয়ে বের হলেও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি থাকায় লোকজন কম থাকে। এজন্য তাকে গাড়ি নিয়ে বসে থাকতে হয়। এসব নিম্নআয়ের বিভিন্ন পেশার মানুষ চায় স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে। শীতের তীব্রতা তাদের এ বেঁচে থাকার অধিকারও যেন কেড়ে নিতে চাচ্ছে। এজন্য এসব খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের পাশে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকার সদয় হয়ে পাশে দাঁড়াবেন এমনটাই প্রত্যাশাই করছেন তারা।

এ ব্যাপারে বদলগাছী আবহাওয়া অধিদফতরের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বলেন, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা নিম্নমুখী। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ’ #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews