বড়লেখা প্রতিনিধি :
হাকালুকি হাওড়ের রনচি বিল (বদ্ধ) জলমহাল থেকে প্রভাবশালীরা প্রতিদিন নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগে সোমবার বিকেলে বড়লেখার ইউএনও তাহমিনা আক্তারের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, ভূমি ও মৎস্য বিভাগ পুলিশ নিয়ে রনচি বিলে অভিযান চালিয়েছে। এসময় ৮/১০টি নৌকায় ৭০-৮০ জন অসাধু মাছ লুটেরা পালিয়ে গেলেও জলমহাল থেকে ৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। পরে রাতে জনসমক্ষে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়।
গত ২৩ অক্টোবর বুধবারের দৈনিক জালালাবাদের শেষ পৃষ্ঠায় ‘হাকালুকির রনচি বিল জলমহাল-সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে রিটকারীরাই লুট করছে লাখ লাখ টাকার মাছ’ শিরোনামে একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়ে জেলা রাজস্ব বিভাগের টনক নড়ে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাহিনা আক্তার অবৈধভাবে সরকারি জলমহালের মাছ লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বড়লেখা ইউএনও’কে নির্দেশ দেন।
রনচি বিলের অভিযানে অংশ নেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আসলাম সারোয়ার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দিন আফজল, থানার সেকেন্ড অফিসার অপু দাশ গুপ্ত সহ একদল পুলিশ সদস্য।
জানা গেছে, মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন (পিটিশন নং-১৫৫০৭/২০২৩) এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রনচি বিল (বদ্ধ) জলমহালটির ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করেন। এই সুযোগে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দিনে-রাতে একাধিক বড় বড় জাল ফেলে অবৈধভাবে মাছ লুট করে নিয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে, সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে রিট পিটিশনকারীরাই দীর্ঘদিন ধরে সরকারি এই জলমহালের লাখ লাখ টাকার মাছ লুট করছে।
বড়লেখা ইউএনও তাহমিনা আক্তার জানান, হাকালুকির রনচি বিল থেকে অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগ পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাহিনা আক্তার ব্যবস্থা নিতে তাকে নির্দেশ দেন। সোমবার বিকেলে এসিল্যান্ড, মৎস্য কর্মকর্তা ও পুলিশ নিয়ে এই বিলে অভিযান চালান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসাধু মাছ শিকারিরা নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বিল থেকে প্রায় ৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করেন। রাতে জনসমক্ষে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। হাকালুকির বিভিন্ন জলমহালে অসাধু মাছ লুটেরার বিরুদ্ধে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply