বড়লেখায় শ্বশুড়বাড়ি থেকে জামাতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কমলগঞ্জের শমশেরনগরে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দিনভর যানজট কুলাউড়ায় অবৈধভাবে বেঁড়িবাধ কাটার সময় মাটি চাপায় দিনমজুর নিহত আত্রাইয়ের শুঁটকিপল্লীতে  উৎপাদনে ভাটা  স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড শান্তিরক্ষা মিশন সুদানে নিহত ও আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের পরিচয় প্রকাশ বড়লেখায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে আলোচনা ও দোয়া কুড়িগ্রামে বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় ভুয়া ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ কমলগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ার কর্মধায় ২য় বারের মতো ট্রাস্ট মেধাবৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণ করবে বেতন কমিশন

বড়লেখায় শ্বশুড়বাড়ি থেকে জামাতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

  • মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫

Manual7 Ad Code

বড়লেখা প্রতিনিধি ::

Manual2 Ad Code

বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ গ্রামে শ্বশুড়বাড়ির পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে জামাতা কয়ছর আহমদ (৩৫) এর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তিনি পেশায় কাঠমিস্ত্রি এবং সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার হাতলিঘাট গ্রামের মৃত মখলিছুর রহমানের ছেলে। প্রায় দুই মাস ধরে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সে কুলাউড়ায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছে। ৫ দিন পূর্বে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী মরিয়ম বেগম হেপি বাবার বাড়ি চলে আসেন।

Manual1 Ad Code

রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানামূখি জল্পনা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) মো. আজমল হোসেন, থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, ওসি (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

Manual6 Ad Code

জানা গেছে, জকিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা হলেও নিহত কয়ছর আহমদ দীর্ঘদিন ধরে বিয়ানীবাজার উপজেলার বারইগ্রাম এলাকায় বসবাস করতেন। সেখান থেকেই ২০১৫ সালে সে উপজেলার দক্ষিণভাগ গ্রামের মোক্তার আলীর মেয়ে মরিয়ম বেগম হেপিকে বিয়ে করে। তাদের শিশু বয়সি একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। দুই মাস আগে তারা কুলাউড়ায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করছে। মরিয়ম বেগম হেপির চাচি লাইলি বেগম জানান, জামাতা কয়ছর আহমদ দুই শিশু সন্তানকে রেখে স্ত্রী হেপিকে মারধর করে কুলউড়ার বাসা থেকে বের করে দিলে সে দক্ষিণভাগ গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে আসে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল হক ও দুই পরিবারের মুরব্বিরা চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্ত মঙ্গলবার সকাল ন’টার দিকে হেপির আরেক চাচি ইয়ারুন নেছা আমাদের পুকুরে হাঁস ছেড়ে দিতে গিয়ে দেখেন পুকুরপাড়ের একটি গাছের প্রায় ২০ ফুট উপরে এক যুবকের লাশ রশিতে ঝুলছে। তখন আশপাশের লোকজন ভিড় জমান এবং যুবকের প্যান্ট ও সার্ট দেখে কয়ছর আহমদের লাশ সনাক্ত করেন। তাদের দাবি কয়ছর আহমদ শ্বশুড়বাড়িতে আসেনি।

তবে, নিহতের বড়বোন ফাতেমা বেগম এনির দাবী শ্বশুড়বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে।

Manual2 Ad Code

থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়েছেন। এব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দাম্পত্য কলহের জেরে সে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!