প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ ::
এক সময়ের বৃহত্তর সিলেটের শস্যভান্ডার খ্যাত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় এ বছর আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। মাঠে মাঠে কৃষকদের দিগন্ত বিস্তৃত সোনালী ফসলে প্রকৃতির নিয়মেই নবান্ন উৎসবে কৃষকরা হয়ে উঠছেন উৎফুল্ল।
করোনা মহামারীর মধ্যেও মাঠে মাঠে সোনালী ফসল কৃষকদের ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনার যোগান দিচ্ছে। গ্রামে গ্রামে কিষান-কিষানি এখন প্রচ- ব্যস্ত। নতুন ধানের সঙ্গে মিশে আছে তাদের স্বপ্ন। আবহমান বাংলার এ এক চিরায়ত লোকজ উৎসব নবান্ন। নবান্নের শুরুতে কৃষি অধ্যুষিত কমলগঞ্জের কৃষকরা সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। অগ্রায়নের প্রথম দিন থেকেই উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা শুরু করেছেন ধান কাটা। কৃষি বিভাগ বলছে এবার কমলগঞ্জ অঞ্চলে আমন চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে।
কমলগঞ্জ কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় মোট ১৭ হাজার ৩শত হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা হয়েছে। আর ১৭ হাজার ২শ ৯৫ হেক্টর অর্জন হয়েছে। আমন চাষে প্রতি হেক্টরে চালের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে উফশী ২.৭৫ টন ও স্থানীয় ১.৪০ টন চাল। অন্যান্য জাতের ধানের পাশাপাশি ব্রি ধান ৪৯, ব্রি ধান ৫১, ব্রি ধান ৫২ ও ব্রি ধান ৮৭ এর ফলন এবার বেশি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফসল ভালো হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে বলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
কমলগঞ্জের আমন চাষী তোয়াবুর রহমান, আনোয়ার খান, শরিফ মিয়া, মো: মুরাদ মিয়া, কাজল মালাকার, সবুর মিয়া ও সুনীল দেবনাথ জানান, নবান্ন আমাদের বাঙ্গালীর প্রাণের একটি উৎসব। এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারে ধানের যে দাম রয়েছে সেই দাম অব্যাহত থাকলে কৃষকদের লাভবান হবেন। তবে মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে কিছুটা শ্রমিক সংকট রয়েছে। করোনার কারণে শ্রমিকরা বাড়তি মজুরী দাবি করছেন। অনেকে করোনার ২য় দফার ভয়ে কাজে যেতে ইচ্ছে প্রকাশ করছেন না। এতে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েছেন কৃষকরা। তারপরও ফলন ভালো হওয়ায় এবার কৃষকদের নবান্ন উৎসবও ভালো হবে বলে আশা করছেন তারা।
ধানের আড়তধার সুয়েব আলী বলেন, বাজারে ধানের দাম গত বছরের তোলনায় বাড়তি রয়েছে। বর্তমান বাজারে মোটা ধান ৮০০ টাকা মণ ও চিকন ধান ৮৫০ টাকা মণ হিসাবে ক্রয় করা হচ্ছে। এবছর ধানের দামে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে তিনি আশাবাদি।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ রায় জানান, উপজেলায়র সর্বত্রই এখন ধান কাটা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ অঞ্চলের চাষিরা আমনের বাম্পার ফলন পাবে। কিয়ার প্রতি ১৩ থেকে ১৫ মণ ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা মহামারী ছাড়া আর বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও কৃষি অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ বছর ফসল ভালো হয়েছে এবং বাম্পার ফলনও হয়েছে। তাই কৃষকরাও খুশি বলে তিনি দাবী করেন।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply