লক্ষ্মীপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ : মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪০ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ : মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ

  • রবিবার, ২১ মার্চ, ২০২১

Manual8 Ad Code
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ::
লক্ষ্মীপুর পৌর ২ নং ওয়ার্ডে বাঞ্চানগর গ্রামের আব্দুল বেপারি বাড়ি মৃত আনোয়ার হোসেন দুলালের স্ত্রী শামসুন্নাহার জমিজমা বিষয়ক দীর্ঘ শত্রুতার জের ধরে একের পর এক মামলা দিয়ে একই বাড়ির বজল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেন, শামসুল হক, খাইরুল আলম, খায়রুল আলমের ছেলে শাহাদাত হোসেন রায়হান, সাজ্জাদ হোসেন রাহাত, স্ত্রী নাসিমা আক্তার ঝর্ণা, আবু তাহেরের মেয়ে নাজমুন নাহার লাকি, আখতারুন নাহার রোজী ও বৃদ্ধা স্ত্রী সেতারা বেগমকে হয়রানি করছে বলে জানা গেছে।
শামসুন্নাহার বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ৭ জনকে বাদী করে মামলা করেন। যার নং সি আর মামলা নং ২৭৩/২১. হয়রানির হীন উদ্দেশ্যে একই ব্যক্তিদের বিবাদী করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গোয়েন্দা শাখা (স্মারক নং-১০৭৮)/২১. অভিযোগ দায়ের করেন।
শুধু তাই নয় সামসুন্নাহারের চাচাশ্বশুর ওবায়দুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে ১৯৯৪ সালে মামলা করেন। আদালত, থানা, পুলিশ সুপারের গোয়েন্দা শাখায় অভিযোগ,  মামলা, এজাহারসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন বলে ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন জানান।
আব্দুল ব্যাপারীর দুই ছেলে মোহাম্মদ মিয়া ও আনা মিয়া। মোহাম্মদ মিয়ার তিন ছেলে ও আনা মিয়ার ৬ ছেলে। আব্দুল বেপারীর দুই ছেলে মোহাম্মদ মিয়া ও আনামিয়াকে এক দলিলে (নং -২১৬৫ খতিয়ান নং ১০১১) ২ একর ৯১ শতাংশ জমি ও নাতি শামসুল হক, ফজল হক ও মুজাফ্ফর আহমদকে এক দলিলে ( নং ২১৬৬ খতিয়ান নং -৬৫৬ ও ১০১৬) ২ একর ৮৩ শতাংশ জমি সাফ কবালা করে দেন।
জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে ওবায়দুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল লাঠিয়াল বাহিনী বজল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেনের বসত ঘর ভেঙে নিয়ে যায় এবং ওই স্থানে শুকনো পাতার স্তুপ করে রাখে। আনোয়ার হোসেন ওই সময় বাদী হয়ে মামলা করেন এবং এই নিয়ে তৎসময়ে সাপ্তাহিক আনন্দ আকাশ ও সাপ্তাহিক দামামা পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
১৯৯৪ সালে পুরো বাড়ির মাপজোক হলে ওয়াকফ জমি আছে বলে ওবায়দুল হক বাদী হয়ে উকিল শালিশের আয়োজন করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ সালে আইনগত অভিমত দেন যে -‘ওয়াকপ দলিল (নং ২১৬৯) আদৌ কার্যকরী হয়নি ও তা অকার্যকর দলিল।
বিজ্ঞ আদালত আরো অভিমত দেন যে আব্দুল বেপারী নাতিদের দানপত্রে দলিলমূলে (নং ২১৬৬) গ্রহীতাগণ বৈধ ও আইনসংগত মালিক।
এরপর ওবায়দুল হক বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র বরাবর অভিযোগ (স্বারক নং-৪৭৮/১১) দায়ের করলে বিজ্ঞ আইনজীবী সমুদয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে অভিমত দেন-২১৬৯নং ওয়াকপ দলিল কার্যকর হয়নি এবং বিরোধী ও ওল্ড পেটি ২১৫ নং খতিয়ান তুলনামূলক পেটি জরিপি ৬৫৬নং খতিয়ান ভূমি ওয়াকপ ভূমি নহে। তাহা ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমি হয়।
ওবায়দুল হক চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার ভাতিজা বউ শামসুন্নাহার হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
এ বিষয়ে শামসুন্নাহার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন-‘উকিলের সাথে আলাপ করলে সব বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমি কি বলবো! উপরোন্ত শামসুন্নাহার আনোয়ার হোসেনদের দোষারোপ করে বলেন- ‘তারা বারবার পুলিশ নিয়ে এসে আমার ঘর করার কাজে বাধা দেয়।’
নিরাপত্তার জন্য খায়রুল আলম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর আমলি আদালতে সাধারণ ডায়েরি ( নং – ৩৪/২১) করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code