বড়লেখা প্রতিনিধি ::
দেশের সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকিতে বিষটোপে অতিথি পাখি নিধনকারীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। এসব অসাধুদের ছিটানো বিষে শুধু পাখিই মরছে না, হাঁস মরে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারী খামারীরা।
শিকারী সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় গত দুই মাসে বিভিন্ন খামারীর ৫ সহস্রাধিক হাঁসের মৃত্যু ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে হাকালুকির বড়লেখা অংশের ভটরকিত্তা নামক স্থানে দুই অসাধু পাখি শিকারীর বিষটোপে জাহাঙ্গীর আলম নামক ক্ষুদ্র খামারীর ৩০০ হাঁস মারা গেছে। এব্যাপারে তিনি অসাধু পাখি শিকারী আবুল হোসেন ও আলী হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
জানা গেছে, জীবিকা নির্বাহ ও পরিবারের সচ্ছলতার জন্য হাওরপাড়ের অনেকে সরকারী-বেসরকারী ব্যাংক কিংবা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে হাঁসের খামার গড়ে তুলেছেন। তারা সকালে হাওরের বিভিন্ন বিলে হাঁস বিচরণ করাতে নিয়ে যান এবং সন্ধ্যায় ফিরে আসেন। কিন্তু অসাধু পাখি শিকারীরা অতিথি পাখি শিকারের জন্য হাওরের বিভিন্ন বিল ও ক্ষেতে ধানের সাথে বিষ মিশিয়ে বিভিন্ন ক্ষেতে ছিটিয়ে রাখে। তাদের বিষটোপে শুধু পাখিই মারা পড়ে না, ক্ষুদ্র ও মাঝারী হাঁস খামারীদের হাঁসের পালও মারা গিয়ে তারা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়লেখার উপজেলার পশ্চিম গগড়া গ্রামের অসাধু পাখি শিকারী আবুল হোসেন ও আলী হোসেনের বিষটোপে একই গ্রামের ক্ষুদ্র হাঁস খামারী জাহাঙ্গীর আলমের ৩০০ হাঁস মারা গেছে।
দরিদ্র হাঁস খামারী জাহাঙ্গীর আলম জানান, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে হাঁস পালা শুরু করেন। হাঁসের বিচরণস্থলে অতিথি পাখি শিকারের জন্য গ্রামের আবুল হোসেন ও আলী হোসেন ধানের বিষটোপ দিয়ে থাকে। প্রায়ই তাদেরকে বাধা দিতাম, মুরব্বিদের নিকট বিচারপ্রার্থী হতাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার তারা বেশি করে বিষ মিশানো ধান ছিটিয়ে রাখে। তাদের বিষ মিশানো ধান খেয়ে ৩০০ হাঁস মরে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন পথে বসার উপক্রম। বুধবার তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply