এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত দেখিয়ারপুর গ্রামের প্রধান রাস্তাটি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যেতো, গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে থাকে পানির নীচে। দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় এলাকার মানুষদের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা যেতে পারেনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে,দেখিয়ারপুরবাসীর দাবী রাস্তাটি উঁচু করার, যা দুই যুগেও পুরণ হয়নি।
দীর্ঘদিনের এই দাবি পূরনে এলাকার মুরব্বীদের নিয়ে সরেজমিনে ঐ রাস্তাটি পরিদর্শন করেন পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ। গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচনের সময় অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমেদ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলে অবহেলিত এই রাস্তার টেকসই উন্নয়ন করবেন। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর অবহেলিত এই রাস্তাটির মাটি ভরাটের কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছেন।
৯ জুন বৃহস্পতিবার দেখিয়ার পুরের প্রধান সড়কের দুই ধারে দুই ফুট উঁচু করে এবং পাঁচ ফুট প্রশস্ত করে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন। এসময় অবহেলিত এই গ্রামের লোকজন বলেন, এই গ্রামের রাস্তাটি ১৯৯৬ সালের পর থেকে যে কয়জন মেয়র এসেছিলেন সবাই বলেছিলেন রাস্তাটির উঁচু করে দিবেন। কিন্তু , নির্বাচনের পরে কেউ কথা রাখে নি।
দু’একবার রাস্তা কার্পেটিং করা হলেও কার্পেটিং করা শেষ হতে না হতেই পানির নিচে তলিয়ে যেতো এলাকার মানুষের দাবি সবসময় উপেক্ষিত হতো। এই প্রথম মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমেদ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন টেকসই উন্নয়ন কাকে বলে, বিগত দিনে নির্বাচিতরা বলতেন পৌরসভাতে মাটি ভরাট করে রাস্তা উঁচু করা যায় না।
কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ স্বল্প সময়ে যে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন তা এলাকার মানুষের মাঝে প্রসংশিত হচ্ছে।
এবিষয়ে দেখিয়ার পুর গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, আমার ভোটটি আমি সঠিক জায়গায় দিয়েছি, তারই ফসল পেতে শুরু করেছে কুলাউড়া পৌরসভার মানুষসহ দেখিয়ারপুরবাসী।#
Leave a Reply