নিউজ ডেস্ক:পাবনার ঈশ্বরদীর বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে উচ্চফলনশীল এবং অধিক চিনি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটি নতুন জাতের আখ উদ্ভাবন করা হয়েছে।
বিএসআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. আমজাদ হোসেন মঙ্গলবার এ তথ্য জানান।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে গত ১৭ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৫তম সভায় এ জাতটি অবমুক্ত করা হয়।
জানা যায়, এ জাতের ফলন (৯৩.৫০-১২১.৫২ টন) বহুল প্রচলিত চেকজাত ঈশ্বরদী ৩৯-এর চেয়ে ৭.৩৬ শতাংশ বেশি এবং চিনি ধারণক্ষমতা (১২.০৬-১৫.১১ শতাংশ) ও গুড় আহরণ হার (১০.৭৫ শতাংশ)। এ জাতের চেয়ে যথাক্রমে ০.৩৮ শতাংশ এবং ০.৮৫ শতাংশ বেশি। জাতটি মোটা এবং স্মাট ও উইল্ট রোগ প্রতিরোধী। এতে লালপচা রোগ দেখা যায় না। এ জাতের আখের পাতায় ধার কম থাকায় মাঠের শ্রমিকরা অনায়াসে আখক্ষেতে কাজ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের দুটি আখ জাতের সংকরায়নের মাধ্যমে উদ্ভাবিত ক্লোনটিকে পুনরায় নিজেদের মধ্যে সংকরায়ন করে ২০১১ সালে আই ১১১/১১ ক্লোনটি নির্বাচিত করা হয়।
এর পর প্রাথমিক ফলন পরীক্ষা, অগ্রবর্তী ফলন পরীক্ষা, আঞ্চলিক ফলন পরীক্ষাসহ বেশ কিছু গবেষণার মাধ্যমে এটিকে নতুন জাত হিসেবে অবমুক্তির জন্য নির্বাচন করা হয়। জাতীয় বীজ বোর্ডের জাত অবমুক্তির এ সভায় সব সদস্যের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে জাতটি অবমুক্ত করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সম্মানিত নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার জাতটির প্রশংসা করেন।
Leave a Reply