বড়লেখা প্রতিনিধি ::
সারা দেশের ন্যায় বড়লেখায়ও চলছে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউন। সরকারী নির্দেশনা কার্যকরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী চালাচ্ছে মাঠে অভিযান। তারপরও অনেকে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে ইদুর-বিড়াল খেলায় ব্যবসা করছে। বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলা সদরের হাজিগঞ্জ বাজারের এক মাছ বিক্রেতা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দেখেই মাছ ফেলে সটকে পড়েন। প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষার পরও তিনি ফিরে না আসায় ম্যাজিস্ট্রেট মালিক বিহীন ১০৩ কেজি মাছ জব্দ করেন। আর এতেই ভাগ্য খুলে যায় ৩টি মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীর। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) নূসরাত লায়লা নীরা।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে লকডাউন কার্যকরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) নূসরাত লায়লা নীরা। এসময় স্বাস্থ্যবিধি অমান্য এবং বিকাল ৫টার পর দোকান খোলা রাখায় ৮ ব্যক্তিকে সর্বমোট ১৪ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাজীগঞ্জ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে এক মাছ বিক্রেতা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দেখেই মাছ ফেলে সটকে পড়েন। ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রায় এক ঘন্টা বিভিন্নভাবে ওই মাছ বিক্রেতাকে হাজির করার চেষ্টা চালান। শেষ পর্যন্ত তিনি ফিরে না আসায় ভ্রাম্যমাণ আদালত মাছগুলো জব্দ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) নূসরাত লায়লা নীরা জানান, প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষার পরও মালিক না পাওয়ায় আইন অনুযায়ী তিনি ১০৩ কেজি মাছ জব্দ করেন। পরে জনসমক্ষে উপজেলার তিনটি এতিমখানায় তা প্রদান করা হয়।#
Leave a Reply