আব্দুর রব, বড়লেখা ::
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের সৎপুর-কাজিরবন্দ এলজিইডি রাস্তার পটহোল মেরামত ও কার্পেটিংয়ের কাজ প্রায় ৩ বছর ধরে আটকে রেখেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২ কিলোমিটার রাস্তার কার্যাদেশের প্রায় ৩ বছর পার হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ শুরু না করায় রাস্তাটি খানাখন্দে ও কোনো স্থান ডোবায় পরিণত হয়েছে। ভাঙ্গাচুরা বেহাল রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগি হওয়ায় এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবর্ণনীয় দূর্ভোগ পোয়াচ্ছেন।
জানা গেছে, বর্নী ইউনিয়নের জনসাধারণের হাকালুকি হাওরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা হচ্ছে সৎপুর-কাজিরবন্দ এলজিইডি রাস্তা। উক্ত রাস্তায় সৎপুর, কাজিরবন্দসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ চলাচল করেন। প্রায় ৪ বছর ধরে রাস্তাটি ভেঙ্গে খানাখন্দ। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ আর.এ.আর.আই.পি প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটির পটহোল মেরামত ও কার্পেটিং কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করে। টেন্ডারে ২৮ লাখ ৩০ হাজার ২৪৯ টাকায় উক্ত রাস্তার ২ কিলোমিটার স্থানের সংস্কার কাজের দায়িত্ব পায় ঢাকার মগবাজারের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোল্লা এন্টারপ্রাইজ। ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৯ মাসে কাজ সম্পন্নের চুক্তিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় স্থানীয় এলজিইডি। কিন্তু অদ্যাবধি ঠিকাদার কাজ শুরুই করেনি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুস ছামাদ, ইউপি যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবুল কাশেম, কাজিরবন্দ গ্রামের সেলিম উদ্দীন মুন্না, সবুর মিয়া, মাসুক আহমদ, এমাদ উদ্দীন, হাফিজ আহমদ, রাজু মিয়া, সৎপুর গ্রামের মুছলিম উদ্দীন, ফজলু মিয়া, আব্দুল মান্নান, ফয়েজ উদ্দীন, ছাদ উদ্দীন, আব্দুল আজিজ, তজমুল আলী প্রমূখ জানান, প্রায় ১০ হাজার লোকের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা সৎপুর-কাজিরবন্দ রাস্তাটি। প্রায় ৪ বছর ধরে রাস্তাটির অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। পিচ ভেঙ্গে খানাখন্দ, অসংখ্য বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অল্পবৃষ্টিতেই পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়। একেবারেই চলাচল অনুপযোগী। লোকজন অসুস্থ হলে গাড়ি নিয়েতো দূরের কথা, পায়ে হেটেও যাতায়াত করা অসাধ্য। এ ভোগান্তি যেন দেখার কেউ নেই।
উপজেলা প্রকৌশলী সামছুল হক ভুইয়া জানান, কার্যাদেশের মেয়াদের মধ্যে কাজ না করায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সময় বর্ধিতের আবেদন করেন। গত বছরের ১৪ জানুয়ারি বর্ধিত সময়ও শেষ হয়ে যায়। এরপর ৪ বার চিঠি দিয়েও ঠিকাদারের কোনো সাড়া মিলেনি। চুক্তি বাতিল, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করাসহ বিধিমোতাবেক শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পত্রপ্রেরণ করেছেন। এছাড়া রাস্তাটির দ্রুত সংস্কারেরও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply