বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখায় দাফনের প্রায় ৯ মাস পর সোমবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে আমেরিকা প্রবাসী বৃদ্ধা নারী উপজেলার বড়থল গ্রামের হাজেরা বেগমের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ। গত ২২ জানুয়ারী উচ্চ ক্ষমতার চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ওই নারীতে অচেতন করে গৃহকর্মী ভিংরাজ বিবি ওরফে বেঙ্গাই বানু ওরফে বেঙ্গি ঘরের বিভিন্ন আলমারীতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় ১ মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ২০ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃদ্ধা হাজেরা বেগম মারা যান। ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করায় হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য সোমবার দুপুরে ওই নারীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
এদিকে নিহত হাজেরা বেগমের ছেলে সেলিম আহমদের হত্যা মামলায় পুলিশ পলাতক গৃহকর্মী হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মৃত আব্দুল হামিদের স্ত্রী ভিংরাজ বিবি ওরফে বেঙ্গাই বানু ওরফে বেঙ্গি, তার ছেলে জয়নাল হোসেন ও বড়লেখার বড়থল গ্রামের ছৈয়ব আলীর মেয়ে সুমি বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। এরমধ্যে জয়নাল হোসেন ও সুমি বেগমকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ৩ দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার বিকেলে পুলিশ এ দুই আসামীকে আদালতে সোপর্দ করে। আসামী সুমি বেগম আদালতে ফৌঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বড়লেখা থানার ওসি (তদন্ত) রতন দেবনাথ সোমবার সন্ধ্যায় জানান, হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত হাজেরা বেগমের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়। এ হত্যা মামলার দুই আসামীর ৩ দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করলে আসামী সুমি বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।#
Leave a Reply