হাকালুকির জলজবৃক্ষ নিধনকৃত স্থানে বোরো ধানের চাষ ! হাকালুকির জলজবৃক্ষ নিধনকৃত স্থানে বোরো ধানের চাষ ! – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০১:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ছাত‌কে গায়েবি প্রশিক্ষণের টাকা সরকারি কর্মকর্তার পকেটে! নিটার-ইপিলিয়ন এমওইউ নবায়ন, সুযোগ বাড়ছে নিটার শিক্ষার্থীদের কমলগঞ্জে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা কমলগঞ্জে দূর্গন্ধযুক্ত ও পঁচা টিসিবির চাল বিতরণের অভিযোগ লন্ডনে সার্কেল পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ও সরপঞ্চ বিষয়ক স্মারকগ্রন্থ কালের অভিজ্ঞান-এর মোড়ক উন্মোচন বড়লেখায় এনসিসি ব্যাংকের বৃক্ষরোপন ও চারা বিতরণ  মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আজমল আলী সেন্টু অস্ত্রধারীর গুলিতে মারা গেলেন নিউইয়র্ক পুলিশ অফিসার কুলাউড়ার যুবক রতন জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা ও মেডিকেল ক্যাম্প সরকারি কাজে বাঁধা ও ইউএনওকে হুমকি ওসমানীনগরে এক সমন্বয়েকর ২ মাসের কারাদন্ড

হাকালুকির জলজবৃক্ষ নিধনকৃত স্থানে বোরো ধানের চাষ !

  • বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১

বড়লেখা প্রতিনিধি ::

দেশের সর্ববৃহৎ হাকালুকি হাওরের মালাম বিলের দক্ষিণ পাশের ‘সাতবিলা’ বিলের উত্তর পার্শের প্রায় ৫ একরের জলজবৃক্ষ নিধন করা সরকারি ভুমিতে প্রভাবশারীদের ছত্রছায়ায় এবার বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। হাওরের জীববৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যেখানে গাছ লাগানোর কথা, সেখানে অবৈধ দখলদাররা ধান চাষ করায় পরিবেশবিদসহ স্থানীয় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ওয়াইল্ড লাইফের হাল্লা ফরেস্ট ক্যাম্প কর্মকর্তা তপন চন্দ্র দেবনাথ অবৈধভাবে বোরো ধান চাষে জড়িত ৯ ব্যক্তির বিরুদ্ধে বড়লেখা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযোগ তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে।

অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার কাজিরবন্দ গ্রামের পারভেজ আহমদ, রিয়াজ আলী, নাজিম উদ্দিন, গফুর উদ্দিন, আব্দুল হান্নান, জয়নাল উদ্দিন, ছালিয়া গ্রামের মালেক মিয়া, সুরুজ আলী ও মোশাইদ আলী।

সরেজমিন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাত মাস পূর্বে হাকালুকির মালাম বিলের দক্ষিণ পাশের ‘সাতাবিলা, বিলের উত্তর পার্শের সরকারি ভুমির হিজল, করচ, বরুনসহ ব্যাপক জলজ বৃক্ষ নিধন করে প্রভাবশালীরা বোরো ধান চাষের জমি তৈরীর প্রস্তুতি নেয়। যেখানে ২০০৩ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের অর্থায়নে ও প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো ব্যাপক গাছগাছালি ছিল। যা হাওরের জীববৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষায় অসামান্য অবদান রাখে। সরকারি অর্থায়নে সৃজিত ও প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা বনে বসবাস করত নানা প্রজাতির পাখপাকালি ও জীবজন্তু। জলজবৃক্ষ নিধনের কারণে এরা আবাসস্থল হারিয়েছে। হাওরের জলজবৃক্ষ নিধনের সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হলে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। কিন্তু জলজ বৃক্ষ নিধনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে তারা বীরদর্পে জলজবৃক্ষ নিধনস্থলে বোরো ধান আবাদ করেছে। এতে হাওরের জীববৈচিত্র চরম হুমকির সম্মুখিন।

ওয়াইল্ড লাইফ বিভাগের স্থানীয় হাল্লা ফরেস্ট ক্যাম্প কর্মকর্তা তপন চন্দ্র দেবনাথ জানান, চলিত বছরের মে মাসে অসাধুরা ট্রাক্টর দিয়ে হাওরের কয়েক হাজার জলজ বৃক্ষ ধংস করেছে। সেই জায়গার একাংশের প্রায় ৫ একর ভুমির ৪-৫ লাখ টাকার গাছ উপড়াইয়া বোরো ধান লাগিয়েছে। বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে সরকারি ভুমি দখলকারীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে সন্ধ্যায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, অভিযোগটি তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে দুইজন পুলিশ অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews