কুলাউড়ায় গোগালীছড়া খাল : কার্যাদেশ পাওয়ার ৭ মাসেও শুরু হয়নি মেরামত কাজ কুলাউড়ায় গোগালীছড়া খাল : কার্যাদেশ পাওয়ার ৭ মাসেও শুরু হয়নি মেরামত কাজ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ছাত‌কে গায়েবি প্রশিক্ষণের টাকা সরকারি কর্মকর্তার পকেটে! নিটার-ইপিলিয়ন এমওইউ নবায়ন, সুযোগ বাড়ছে নিটার শিক্ষার্থীদের কমলগঞ্জে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা কমলগঞ্জে দূর্গন্ধযুক্ত ও পঁচা টিসিবির চাল বিতরণের অভিযোগ লন্ডনে সার্কেল পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ও সরপঞ্চ বিষয়ক স্মারকগ্রন্থ কালের অভিজ্ঞান-এর মোড়ক উন্মোচন বড়লেখায় এনসিসি ব্যাংকের বৃক্ষরোপন ও চারা বিতরণ  মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আজমল আলী সেন্টু অস্ত্রধারীর গুলিতে মারা গেলেন নিউইয়র্ক পুলিশ অফিসার কুলাউড়ার যুবক রতন জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা ও মেডিকেল ক্যাম্প সরকারি কাজে বাঁধা ও ইউএনওকে হুমকি ওসমানীনগরে এক সমন্বয়েকর ২ মাসের কারাদন্ড

কুলাউড়ায় গোগালীছড়া খাল : কার্যাদেশ পাওয়ার ৭ মাসেও শুরু হয়নি মেরামত কাজ

  • সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

এইবেলা, কুলাউড়া ::

কুলাউড়া পৌরসভার পূর্বপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাহাড়ী গোগালীছড়া খালের ডান ও বাম তীরের ৩ স্থানের মেরামত কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার ৭ মাস অতিবাহিত হলেও কাজ শুরু না হওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাজ শুরু না হওয়ায় ঠিকাদের উদাসীনতাকে দায়ী করেন পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ।

কুলাউড়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে সৃষ্টি হওয়া গোগালীছড়া খালটি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড হয়ে হাকালুকি হাওরে মিলিত হয়েছে। পাহাড় থেকে ছড়ার উৎপত্তি হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ী ঢলে নদীর দু’কুল উপচে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে নদীর দু’কুলের ৩টি স্থানে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে কুলাউড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দুই তৃতীয়াংশ গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি, স্কুল, মাদরাসা, গবাদি পশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। ২৬ জুলাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরেজমিন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শণ করে দুর্যোগ বিবেচনায় জরুরি মেরামতের নির্দেশ দেন।

নদীর বাম তীরের দশমিক ৫০০ মিটার হতে দশমিক ৫৩০ মিটার ও দশমিক ৮২০ মিটার হতে দশমিক ৮৫০ মিটার এবং ডান তীরে দশমিক ৪৭০ মিটার হতে দশমিক ৪৮০ মিটার পর্যন্ত মোট ৭০ মিটার এলাকায় বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন কমিটি দ্বারা বাঁধের অস্থায়ী স্লোপ প্রতিরক্ষা কাজ নিরুপনসহ বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজটি সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। যার সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয় ৬ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী প্রকাশ কান্তি সরকার স্বাক্ষরিত একটি কার্যাদেশগত ২৯ জুলাই প্রদান করা হয়। কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় ঢাকার রাহাদ কন্সট্রাকশন।

ইতোমধ্যে ৭ মাস অতিবাহিত চলছে কিন্তু কাজ শুরু করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী মিসেস রিনা কাজ বিলম্বের কারণ হিসেবে জানান, দেশের করোনার কারণে মুলত কাজটি করতে বিলম্ব হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলো তার গোটা পরিবার। বর্তমানে সুস্থ হলেও আতঙ্কে কোথায়ও বের হচ্ছেন না। স্থানীয় কাউন্সিলারকে কাজ করে দেয়ার জন্য বলেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে বলে জানান।

কুলাউড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম জানান, কাজ শুরু হয়নি। আর এক মাস পরে আবার বৃষ্টি বাদল শুরু হলে কাজ শেষ করা কঠিন হবে। এটা খুব বড় কাজ না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালিপনা এজন্য দায়ী।

এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews