বড়লেখা প্রতিনিধি:: বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং ডিউটি রুম থেকে জোরপূর্বক বালিশ নিতে বাধা দেয়ায় ওয়ার্ড বয় অনজিৎ চন্দ্র দাসকে মঙ্গলবার সকালে এক রোগির স্বজনরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওয়ার্ড বয় অনজিৎ চন্দ্র দাস হামলাকারি দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করায় রহিমা বেগম নামে এক মহিলাকে পুলিশ আটক করেছে। তিনি উপজেলার গঙ্গারজল গ্রামের আলতাফ হোসেনের স্ত্রী।
থানায় করা অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জনৈক তানভির আহমদ ও রহিমা বেগম মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ডলি বেগম নামে এক রোগিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওয়ার্ড বয় অনজিৎ চন্দ্র দাসকে কর্তব্যরত স্টাফ নার্স ওই রোগির জন্য বিছানার ছাদর ও বালিশ দিতে বলেন। এরই মধ্যে রোগির স্বজন তানভির আহমদ নার্সং স্টাফ রুমে ঢুকে জোরপূর্বক নিজ হাতে বালিশ নিয়ে আসতে থাকে। এসময় ওয়ার্ড বয় তার হাতে বালিশ ফেরৎ দিতে এবং ডিউটি রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানায়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে তানভির আহমদ ওয়ার্ড বয়কে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ, চড় থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এসময় রোগির আরেক স্বজন রহিমা বেগমও তাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে তিনি ওয়ার্ড বয়কে জুতাপেটা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদ্বীপ বিশ্বাস জানান, সিসি ক্যামেরার ফোটেজ অনুযায়ি হাসপাতালে ভর্তির এক মিনিটের মধ্যেই ওয়ার্ড বয় রোগির বিছানার ছাদর ও বালিশ আনতে গিয়েছে। কর্তব্যরত অবস্থায় একজন সরকারি কর্মচারির ওপর হামলা চালালে ওরা কাজ করবে কিভাবে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
বড়লেখা থানার এসআই আতাউর রহমান জানান, হাসপাতাল কর্মচারির ওপর হামলায় জড়িত এক মহিলাকে পুলিশ তাৎক্ষণিক আটক করেছে। অপর হামলাকারিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply