বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখায় ত্রাণ দেওয়ার নামে পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা সাড়ে ৩ ঘন্টা বসিয়ে রেখে বন্যাদুর্গতদের সাথে অমানবিক আচরণ করেছে। এ ঘটনায় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগিরা পদক্ষেপের ঋণ গ্রহীতা হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হলেও তারা মুখফুটে তা কাউকে বলতে পারেননি।
জানা গেছে, ‘পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র’ দাসেরবাজারের শাখা ব্যবস্থাপক মতিউর রহমান খাদ্যসামগ্রী বিতরণের জন্য উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৩০০ বন্যাদুর্গত মানুষকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দাসেরবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জড়ো করেন। পানিবন্দী লোকজন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রাস্তাঘাট মাড়িয়ে বৃষ্টির মধ্যে যথাসময়ে ত্রাণ বিতরণের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে উপস্থিত হন। কিন্তু সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফটোসেশন আর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অপেক্ষায় বানভাসি লোকজনকে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা বসিয়ে রাখেন। এতে তারা চরম ভোগান্তির শিকার হন। সংস্থাটির অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন ম্যানেজার মতিউর রহমান সকাল সাড়ে ১০টায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবেন বলে এখানে আমাদের জড়ো করেন। বন্যার পানি ডিঙিয়ে আর বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অনেক কষ্টে নানা ঝুঁকি নিয়ে আমরা ত্রাণ নিতে আসি। কিন্ত আমাদের প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা বসিয়ে বেলা ২টার দিকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ভুক্তভোগীরা বলেন, এটা আমাদের দূরাবস্থাকে নিয়ে রীতিমত তামাশা করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন চত্রবর্তী জানান, তাকেও সকাল সাড়ে ১০টায় আসার দাওয়াত দেওয়া হয়। তিনি যথা সময়ে আসলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এসময় তিনি বন্যাক্রান্ত লোকজনকে উপস্থিত থাকতে দেখেন। অনেকেই তাদের ভোগান্তির ব্যাপারে অভিযোগ করেন। অবশেষে বেলা ২টায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়। মারাত্মক দুর্যোগকালিন মুহূর্তে পানিবন্দী এলাকার লোকজনকে বসিয়ে রাখা পদক্ষেপের ম্যানেজারের ঠিক হয়নি।
দাসেরবাজার পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মতিউর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় ত্রাণ বিতরণের কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা বিলম্বিত হয়।
Leave a Reply