বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত আশ্রয়ন প্রকল্পের সরকারি ঘর বিত্তশালী এক ব্যক্তিকে প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে এলাকাবাসির অভিযোগ সত্তে¡ও ছলচাতুরির মাধ্যমে পাকাঘর হাতিয়ে নেয়া ব্যক্তি জোরপূর্বক ওই সরকারি ঘর জবরদখল করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, মুজিববর্ষের দ্বিতীয় পর্যায়ে চলিত বছর ভুমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নে ২১টি সরকারি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া যায়। যাচাই-বাচাই শেষে উপজেলা প্রশাসন বড়থল নয়াগ্রামে উপকারভোগিদের জন্য ঘরগুলো নির্মাণ করা দেয়। গ্রামের বাসিন্দা বলাই মিয়া, কুতুব উদ্দিন, শাহিনুর আহমদ, লাকী বেগম, আনছার আহমদ, রুবেল মিয়া, দিলু মিয়া প্রমুখ স্থানীয় প্রশাসেন লিখিত অভিযোগ করেন ২১টি সরকারি ঘরের মধ্যে একটি ঘর প্রকৃত অসহায়, ভুমিহীন ও গৃহহীনকে না দিয়ে রহস্যজনকভাবে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে এলাকার সফল আগর-আতর ব্যবসায়ি ও নিজস্ব পাকাঘরে বসবাসকারি স্বচ্ছল ব্যক্তি আজিম উদ্দিনকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অভিযোগের পর প্রভাবশালী আগর আতর ব্যবসায়ি আজিম উদ্দিন নবনির্মিত সরকারি পাকাঘরটি দখলে নিয়েছে। তারা বিত্তবান আজিম উদ্দিনের জবরদখল থেকে সরকারি পাকা ঘর উদ্ধার ও তার নামের বরাদ্দ বাতিল করে যেকোন প্রকৃত অসচ্ছল ও ভুমিহীন ব্যক্তিকে বরাদ্দ প্রদানের দাবি জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম জানান, তথ্য গোপন করে তার কাছ থেকেও আজিম উদ্দিন ভুমিহীনের সনদ হাতিয়ে নেয়। পরে তিনি তা বাতিল করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগটি তিনি ইউএনও বরাবরে ফরোয়ার্ড করেছেন।
সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, মুজিববর্ষের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ভুমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশনা রয়েছে। আজিম উদ্দিনের নামে সরকারি ঘর বরাদ্দ হলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠায় তাৎক্ষণিক ভুমির দলিল রেজিষ্ট্রেশনসহ অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ি এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply