নওগাঁর আত্রাইয়ে মাছ শিকারের ধুম নওগাঁর আত্রাইয়ে মাছ শিকারের ধুম – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কমলগঞ্জে টিলাকেটে ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘর; দুর্ঘটনার আশঙ্কা ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কমলগঞ্জ পৌরসভায় ৩০৮১ পরিবারের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ কুড়িগ্রামে জিআরের চাউলের স্লিপ নেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-৬ নিটার প্রশাসনের ইফতার মাহফিল আয়োজনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ  নাগেশ্বরীতে স্থানীয় ব্যবসায়িকদের সাথে সংবেদনশীলতা সভা কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার  সোনালী ব্যাংক বড়লেখা শাখার ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানী ও অসদাচরণের অভিযোগ ভুরুঙ্গামারী সীমান্তে ভারত থেকে পাচার হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটক উলিপুরে দুই ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন  কমলগঞ্জে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে কৃষকের কষ্টার্জিত টমেটো

নওগাঁর আত্রাইয়ে মাছ শিকারের ধুম

  • শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০২০
নওগাঁ :: নওগাঁর আত্রাইয়ে বন্যার পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত জেলেরা ছবি : এইবেলা

নাজমুল হক নাহিদ, নওগাঁ প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাইয়ে নদী-নালা, খাল-বিল ও ফসলের মাঠে থৈ থৈ করছে অথৈয় পানি। যেদিকে চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। সাম্প্রতিক সময়ে ভরি বর্ষণ ও আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে প্রতিটি মাঠ প্লাবিত হয়ে গেছে। এসব খাল-বিলে এখন মাছ শিকারে মুখরিত হয়ে উঠেছে এলাকার মৎস্যজীবী (জেলে) পরিবারের কর্তারা। তারা বিভিন্ন ব্রিজ, কালভার্ট, ও শ্রোতের মুখে খড়াজালসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে দিন রাত মাছ শিকার করছেন। আর এ মাছ বিক্রি করে স্বাচ্ছন্দে চলছে তাদের পরিবার।

জানা যায়, আত্রাই উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১৯ টি মৎস্যজীবী সমিতির আওতায় প্রায় ৬ হাজার মৎস্যজীবী রয়েছেন। যারা মাছ শিকার করে তাদের পরিবারের ব্যয়ভার বহন করেন। শুস্ক মৌসুমে খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় এসব জেলে পরিবারে নেমে আসে হতাশা। বছরের বেশ কয়েক মাস নদী নালাতে পানি না থাকায় তারা মাছ শিকার করতে পারেন না।

ফলে পরিবারের ভরনপোষণে তাদের অন্য পেশায় আতœনিয়োগ করতে হয়। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এবারে নদী নালা খাল বিলে আগাম পানি আসায় এবং সর্বত্র বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় অধিকহারে তারা মাছ শিকার করতে পারছেন। বিশেষ করে খড়াজাল দিয়ে মাছ শিকার সর্বত্র চোখে পড়ার মত। যে সব জায়গায় লোকজন খড়াজাল কোন দিন দেখে নাই সেখানেও এবার স্থাপন করা হয়েছে খড়াজাল।

উপজেলার খনজোর গ্রামের মৎস্যজীবী (জেলে) যুগল চন্দ্র হাওলদার বলেন, অন্যান্যবার আমরা এত অধিকহারে খড়াজাল পাততে পারতাম না। এবারে বন্যার পানি বেশি হওয়ায় খুব দূরে যেতে হচ্ছে না। বাড়ির কাছেই খড়াজাল পেতেছি। মাছ যা হচ্ছে তা বিক্রি করে ভালভাবে সংসারের খরচ মিটছে।

পারকাসুন্দা গ্রামের এরশাদ আলী বলেন, আমাদের এলাকাতে এবার অনেক কড়াজাল দিয়ে জেলেরা মাছ শিকার করছেন। বিশেষ করে খনজোর এবং পারকাসুন্দার মাঝখানে আত্রাই-পোরাখালী রাস্তার পার্শে বেশ কয়েকটি খড়াজাল পাতা হয়েছে। প্রতিদিন বিকেলে এসব জালে মাছ শিকার দেখতে এলাকার অনেক নারী পুরুষ সেখানে ভীড় জমায়। ওই স্থান এখন অনেকটা বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে।

উপজেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি ভূষণ চন্দ্র হাওলদার বলেন, বর্ষা মৌসুমে মৎস্যজীবীরা যদিও মাছ শিকার করে তাদের পরিবারের ব্যয়ভার বহন করছেন। তাবে শুস্ক মৌসুমে তাদের সহায়তা করা প্রয়োজন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেব নাথ বলেন, ভারি বর্ষণ ও ঢলের পানিতে আত্রাই নদীসহ উপজেলার প্রতিটি মাঠে থৈ থৈ করছে অথৈয় পানি। আর এ পানিতে জেলেদের মাছ শিকারের যেন ধুম পড়েছে। জেলেরা যেন রেণু পোনা শিকার করতে না পারে সে জন্য প্রতিটি এলাকায় আমাদের মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।

এইবেলা/জেএইচজে

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews